আজ ষষ্ঠী। ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। দেবী দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে আসবেন ভক্তদের কাছে। সায়ংকালে বিহিত পূজার মাধ্যমে অধিষ্ঠিত হবেন তিনি। এর আগে সম্পন্ন হবে দেবীর বোধন। আর এর সঙ্গেই শুরু হবে বাঙালি সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা।
সোমবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ষষ্ঠীর দিনের পূজা।
এ সময় ঢাক-ঢোলের বাজনা, কাঁসা, শঙ্খের আওয়াজ এবং ভক্তদের উলুধ্বনিতে দেবী দুর্গাকে পৃথিবীতে স্বাগত জানানো হয়। সন্ধ্যায় হবে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস।
উৎসবটি শান্তিপূর্ণভাবে পালনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি।
এ বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ১১৮টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে উৎসব-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সীমিত পরিসরে রাখতে ভক্তদের প্রতি অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।
সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে এখন সারা দেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দুর্গাপূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে দেশজুড়ে পূজা মণ্ডপগুলো বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে।
বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা সমস্ত অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীকরূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস।
পুরাণ মতে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী, কোনও মানুষ বা দেবতা কখনও মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলত অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করেন এবং বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চান। কিন্তু দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধ করেন।
আগামী ১৫ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসব।