শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৯ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

৬ মাস পর ভারত থেকে এলো সেরামের ১০ লাখ ডোজ টিকা


নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৯ অক্টোবর, ২০২১ ৮:৩২ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

অবশেষে রপ্তানির অনুমতি পাওয়ার পর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ১০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে। ছয় মাস পর শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকার এই চালান আসে।

বিমানবন্দরে টিকার চালান গ্রহণ করেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্মকর্তারা।

ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী এসব টিকা পাঠানো হয়েছে।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা ‘কোভিশিল্ড’ কিনতে গত বছর নভেম্বরে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। এরপর জানুয়ারিতে ৬০০ কোটি টাকার বেশি অগ্রিম হিসেবে দেয় সরকার, যা টিকার মোট দামের অর্ধেক।

চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা ছিল। কিন্তু গত ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ টিকা আসে বাংলাদেশে।

পাশাপাশি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২১ জানুয়ারি আরও ২০ লাখ ডোজ এবং ২৬ মার্চ ১২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড পায় বাংলাদেশ।

মার্চে ভারতে করোনাভাইরাস মহামারি চরম আকার ধারণ করলে সেদেশের সরকার টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। নিজেদের দেশের মানুষকে টিকা দিতেই মূলত ভারত এই সিদ্ধান্ত নেয়। অর্থাৎ ২৬ মার্চের পর ভারত থেকে সেরামের টিকার আর কোনো চালান দেশে আসেনি।

এতে করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ টিকার ব্যাপক সংকটের মুখে পড়ে। নানা সমালোচনাও হয়। অগ্রিম টাকা নিয়েও চুক্তি অনুযায়ী টিকা না দেওয়ায় সংসদে পর্যন্ত এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় এ বছরের ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ১৪ লাখ মানুষ তখন কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় টিকার ডোজ নির্ধারিত সময়ে নিতে পারেননি।

পরে অবশ্য সরকার চিনের সঙ্গেও টিকা নিয়ে একটি চুক্তি করে। আর বিভিন্ন দেশ থেকেও বাংলাদেশ উপহার হিসেবে বেশকিছু কোভিশিল্ড টিকা পেয়েছে। কিছু টিকা কেনাও হয়েছে।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর