শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

জনগণ বিএনপিকে ভোট দেবে কেন, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর



নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৪ অক্টোবর, ২০২১ ৫:০৫ : অপরাহ্ণ

বিএনপিকে জনগণ ভোট দেবে কেন-এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি যে নির্বাচন নিয়ে এতো প্রশ্ন তোলে, তাদের জন্মটা কীভাবে? তারা কি কখনো জনগণের দাবি আদায়ে কোনো আন্দোলন করেছে? তারা জানে নির্বাচনে তাদের কোনো সম্ভাবনা নেই। এ কারণেই তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা করা বলছে।’

আজ সোমবার বিকেলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান এবং উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন আলোচনা ও বৈঠকে অংশ নেওয়ার বিষয়ে অবহিত করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন হয়েছে বলেই আজকের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অভিযোগ নাই। সে নির্বাচনেও মানুষ ভোট দিয়েছে। ওই নির্বাচনেও বিএনপি জিততে পারেনি কেন?’

সরকার প্রধান বলেন, ‘ইভিএমএর ভোট নিয়েও প্রশ্ন তোলে বিএনপি। জনগণ কোন ভরসায় তাদের ভোট দিবে? এতিমের অর্থ আত্মসাতকারী তো নির্বাচন করতেও পারবে না। নির্বাচনে জয়ের বিশ্বাস হারিয়ে গেছে বলে বিএনপি নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।’

নির্বাচন কমিশন কীভাবে গঠিত হবে এবং ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সরকার কি করছে-সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা তো বেশ কয়েকটি নির্বাচন দেখলেন। সর্বশেষ নির্বাচনে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। তবে অনেকে নির্বাচন নষ্ট করতে চায়। এরপরও নির্বাচন হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির শাসনামলে জঙ্গিবাদ বিস্তার লাভ করেছে, বোমাবাজি হয়েছে, সারাদেশে বোমা হামলা হয়েছে, মানুষের জীবনের নিশ্চয়তা ছিল না। পাকিস্তানীরা যেভাবে ধর্ষণ করতো সেভাবে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে মানুষকে নির্যাতন করা হয়েছে। মানুষের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের শাসনামলে ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দেশ।’

’৭৫-৯৬ সাল এবং ২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত জনগণ কী পেয়েছে- সেই প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গ্রামে যাতে অর্থের সরবরাহ হয় সে চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক দেশে খাদ্যের ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু খাদ্য উৎপাদনের সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারি শুরু হওয়ার প্রায় দুই বছর পর এবারই প্রথম আমি দেশের বাইরে সশরীরে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিই। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে আমার অত্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের মূল সভা ও সাইড ইভেন্ট মিলিয়ে আমি সর্বমোট ১০টি সভা ও ৮টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিই। ৭৬তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক পর্বের উদ্বোধনী দিনেও আমি যোগ দিই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবারের জাতিসংঘের অধিবেশনে গিয়ে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষীক বৈঠক হয়েছে। এ সকল দ্বিপাক্ষীক বৈঠকে অংশ নিয়ে আমি পারস্পারিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আলোচনার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক বিষয়ে মনোযোগ ও সহযোগিতা কামনা করি। রোহিঙ্গা সমস্যা ও এর স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়, যা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখবে বলে আমি আশা করি।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর