প্রতিনিধি, নোয়াখালী প্রকাশের সময় :৪ অক্টোবর, ২০২১ ১১:২৫ : পূর্বাহ্ণ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন-দেলোয়ার বাহিনী প্রধান দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোহাম্মদ আলী ওরফে আবুল কালাম। আসামিরা বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
এর আগে দুই আসামিকে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।
প্রায় ১ বছর পর এ চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণা হলো।
মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের কৌঁসুলী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মামুনুর রশীদ লাবলু জানান, আলোচিত গৃহবধূ ধর্ষণ মামলাটিতে আমরা বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষী উপস্থাপন, জেরা ও জবানবন্দি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। ১৩ কার্যদিবসে বাদীপক্ষের ১২ জন ও আসামিপক্ষের তিনজন সাক্ষীসহ মোট ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে স্থানীয় সন্ত্রাসী দেলোয়ার বাহিনী স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে প্রহার করে। সেই দৃশ্য মোবাইলফোনে ধারণ করেন অভিযুক্তরা। আহত ওই মধ্যবয়সী এক নারী চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে জেলা সদরে তার বোনের বাসায় পালিয়ে যান।
সেখানে গিয়েও অভিযুক্তরা তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন। গৃহবধূ এতে রাজি না হওয়ায় আগের ধারণ করা ভিডিও ঘটনার একমাস পর ৪ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেয়।
সন্ত্রাসীদের ভয়ে আত্মগোপনে থাকা ওই নারীকে ওইদিনই উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
এরপর ওই নারী ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর ও ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল দুই দফায় তাকে ধর্ষণের অভিযোগে দেলোয়ার ও কালামসহ ৯ জনের নামে দুটি মামলা করেন। একটি ধর্ষণের মামলা, অপরটি পর্নোগ্রাফি আইনে করা।