রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩ অক্টোবর, ২০২১ ২:৪০ : অপরাহ্ণ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুর উপনির্বাচনে রেকর্ড জয় পেলেন ‘ঘরের মেয়ে’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বশেষ ফল অনুযায়ী, প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ভবানীপুরে জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন তৃণমূল নেত্রী।
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর জয়ের ব্যবধান ছিল ৫৪ হাজার ২১৩। এবার সেই ব্যবধান টপকে গিয়ে মমতা জিতলেন ৫৮ হাজার ৩৮৯ ভোটে।
ভবানীপুরে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ জন। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছিল প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে। সিপিএম প্রার্থী করেছিল শ্রীজীব বিশ্বাসকে।
তবে লড়াইটা কখনওই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বা শ্রীজিব বিশ্বাস ছিল না। লড়াইটা শুরু থেকেই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী নিজে যে ‘বেঞ্চমার্ক’ সেট করেছেন, সেই বেঞ্চমার্ক টপকাতে পারেন কি না, সেটাই ছিল দেখার।
আজ রোববার সকালে ভবানীপুরের আকাশের কালো মেঘ সরতেই দেখা গেল বাংলার জননেত্রী স্বমহিমায় উজ্বল। সর্বকালের অন্যতম বড় জয়ের রেকর্ডও গড়ে ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী আবারও প্রমাণ করলেন তার তুলনা তিনি নিজেই।
গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে পরাজিত হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ চার মাসের ব্যবধানেই ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় অবশ্যসম্ভাবী হতেই উল্লাসে মেতে উঠেছে নন্দীগ্রামবাসী।
চার মাস আগেই নন্দীগ্রামেই একসময়ের অনুগামী, বর্তমান বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১ হাজার ৯৫৬ ভোটে পরাজিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও প্রথমে ১ হাজার ২০০ ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছেন বলে খবর হয়। পরে নির্বাচন কমিশন শুভেন্দু অধিকারীকেই জয়ী ঘোষণা করে। যা নিয়ে বিজেপি ও কমিশনের বিরুদ্ধে আঁতাত ও গণনায় কারচুপিরও অভিযোগও আনে তৃণমূল। মামলা গড়ায় আদালতে।
মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে ভবানীপুরে ভোটে জিততেই হতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রচারেও বারে বারে এই উপনির্বাচনের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ভোটারদের ভোটদানের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। ঘরের মেয়ের সেই আবদারে সাড়া দিল ভবানীপুর।।