এবার বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে গেলো কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল খেলাফত মজলিস।
আজ শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং থেকে জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন দলটির আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক।
এর আগে ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে যায় চারটি দল। এগুলো হলো-ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, লেবার পার্টি এবং আন্দালিব রহমান পার্থের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)
আজ দুপুরে দলটির কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করে খেলাফত মজলিস।
দলের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে প্রায় দুই শতাধিক সদস্য অংশ নেন।
বৈঠকে বসার আগে খেলাফত মজলিসের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেছেন, তারা ২০-দলীয় জোটের প্রধান শরিক দল বিএনপির কার্যকলাপে হতাশ। দীর্ঘদিন ধরে জোট নিষ্ক্রিয়। বিশেষ করে, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পূর্বাপর রাজনৈতিক কর্মপন্থা নির্ধারণে ২০-দলের শরিকেরা গুরুত্ব হারায়। তাছাড়া বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সাম্প্রতিক কার্যক্রমে তাদের মনে হয়েছে, তারা জোটে থাকা ইসলামি দলগুলোর ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী নন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খেলাফত মজলিস একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতির প্রয়োজনে সদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রামে খেলাফত মজলিস বিশ্বাসী।
তিনি বলেন, একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন হিসেবে দীর্ঘ তিন দশকেরও অধিক সময় রাজনৈতিক অঙ্গনে দেশ, জাতি, ইসলাম ও জনগণের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে। খেলাফত মজলিস মনে করে, এ দেশের প্রতিটি নাগরিকের রাজনৈতিক মতাদর্শ লালন-পালন করার অধিকার আছে, যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বীকৃত।
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিগত ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি খেলাফত মজলিসের শুরার অধিবেশনে বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, পরবর্তী সিদ্ধান্তের পূর্ব পর্যন্ত খেলাফত মজলিস জোটের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। সে অনুযায়ী দীর্ঘ দুই বছরের অধিক সময় ধরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আসছে।