শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা রাজধানী

‘মামলায়’ ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দিলেন চালক (ভিডিও)



নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২:০১ : অপরাহ্ণ

ট্রাফিক পুলিশ বারবার ‘মামলা দেওয়ায়’ ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেই নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে প্রতিবাদ করেছেন শওকত আলম সোহেল নামের একজন চালক।

আজ সোমবার সকালের দিকে রাজধানীর গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে এ ঘটনা ঘটে।

ব্যস্ততম রাস্তায় মোটরসাইকেলে আগুন দেখে চলাচলকারী লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

জানা গেছে, ওই চালকের নাম শওকত আলম সোহেল। তিনি মোটরসাইকেলে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করেন।

বাইকটি আগুনে পুড়ে যাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি মোটরসাইকেলে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ক্ষুব্ধ পাঠাও চালক ওই মোটরসাইকেলেই হেলমেট ছুড়ে মারতেও দেখা যায়। আশপাশে থাকা লোকজন ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলে পাঠাও চালক তাদের বাধা দেন। কারও কথা না শুনে নিজের গাড়িতে আরো পেট্রোল দিতে থাকেন।

ফেসবুকে ভিডিওটি পোস্ট করে মিরাদুল মুনিম নামে একজন লিখেছেন, ‘মনের কষ্টে নিজের বাইকে আগুন! কাগজপত্রে সামান্য ত্রুটি থাকায় মামলা দেয় পুলিশ। তাই মনের কষ্টে গ্যাসলাইট দিয়ে নিজেই আগুন ধরিয়ে দেয় শওকত আলম সোহেল নামে এই হতভাগা আদম। অনেক চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে চেষ্টা করলাম কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ!’

শওকত আলম সোহেল জানিয়েছেন, তার মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ঠিক থাকার পরেও বার বার মামলা দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। চলতি মাসেও পল্টনে একবার মামলা খেয়েছেন। তাই রাগে ক্ষোভে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

মামলা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন গুলশান ট্রাফিক জোনের ডিসি রবিউল ইসলাম।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওই চালকের মোটরসাইকেলের নামে মামলা দেওয়ার জন্য কাগজপত্র নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মামলা দেওয়া হয়নি। তার আগেই তিনি তার মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।’

চালক শওকতকে আটক করে বাড্ডা থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।

বাড্ডা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে জানান, গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় পুলিশ সার্জেন্ট ওই চালকের মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চেক করছিলেন। এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে চালক নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

ওসি বলেন, ‘আগুনে পোড়া মোটরসাইকেলটি এবং ওই চালককে আমরা থানায় নিয়ে এসেছি। তাকে আটকের জন্য বা কোনো আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আমরা থানায় নিয়ে আসিনি। তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি তার ক্ষুব্ধ হওয়ার আসল কারণ কী এবং কেন তিনি এমন করেছেন।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর