শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা চট্ট-মেট্টো

চট্টগ্রামের মানুষ হাসপাতাল না চাইলে জোর করে চাপিয়ে দেয়া হবে না: রেলমন্ত্রী



নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৯:৩৬ : অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের সিআরবিতে হাসপাতাল প্রকল্পের বিষয়ে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘চট্টগ্রামের মানুষ যদি কোনো হাসপাতাল না চান, জোর করে চাপিয়ে দেয়া হবে না।’

তবে এ প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তিনি জানান।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী কক্সবাজারে রেলের প্রকল্প পরিদর্শন শেষে শুক্রবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আসেন।

হাসপাতাল প্রকল্পের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কয়েকদিন পূর্বে আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। আন্দোলন তার পূর্বেই শুরু হয়েছে। পত্রপত্রিকায় দেখছি এখানে আন্দোলন হচ্ছে, কিন্তু এতটা করার কোনো প্রয়োজন ছিল না। যে অভিযোগে আন্দোলন হচ্ছে, তার ভিত্তি কতটুকু সেটা যাচাই-বাছাই করার জন্য তো সময় দিতে হবে।’

নুরুল ইসলাম সুজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এক সময় বিদ্যুৎ নিয়ে আন্দোলন হয়েছে, এখন হচ্ছে হাসপাতাল নির্মাণ নিয়ে। আমাদের একশ্রেণির মানুষ আছে যাদের কোনো কাজই ভালো লাগে না।’

হাসপাতাল নির্মাণ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিরোধিতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী আছেন, এমপি আছেন, কেউ এর বিরোধিতা করেননি।’

নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘এ প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত হলো সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) উৎসাহিত করা। সরকারের যত প্রকল্প আছে নীতিগতভাবে এর ৩০ শতাংশ যাতে পিপিপি’র অধীনে বাস্তবায়ন করা যায়। স্থানীয় এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ উৎসাহিত করার জন্য সরকার সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তারই আওতায় রেলওয়ের এ প্রকল্পটি রয়েছে।’

রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত বছরের ১৮ মার্চ সিআরবি এলাকায় ৫০০ শয্যার হাসপাতাল ও ১০০ আসনের মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য চুক্তি সই ও অনুমোদন হয়। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) এ প্রকল্প নির্মাণ করবে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি লিমিটেড নামের বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান।

প্রকল্পটি হবে বর্তমান রেলওয়ে হাসপাতাল ও সংলগ্ন খালি জমি, রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনি স্টাফ কোয়ার্টারের ছয় একর জমিতে।

প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছে ১২ বছর। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে রেলওয়েকে আট কোটি টাকা পরিশোধ করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি। ৫০ বছর পর হাসপাতালটি রেলওয়েকে হস্তান্তর করা হবে বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়।

গত জুলাই মাসে প্রকল্প এলাকার জমি হাসপাতাল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া উদ্যোগ নেওয়া হলে আন্দোলন শুরু হয়।

ইতিহাস ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ সিআরবি এলাকায় স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর