নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১১:৪৫ : পূর্বাহ্ণ
হেফাজতের সাবেক নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জের শাল্লার বাসিন্দা ঝুমন দাসকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ঝুমনকে এক বছরের জন্য জামিন দিয়েছে আদালত। তবে এ সময়ের মধ্যে দেশের বাইরে যেতে পারবেন না তিনি। এমনকি আদালতের অনুমতি ছাড়া যেতে পারবেন না সুনামগঞ্জের বাইরেও।
আদালতে ঝুমনের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জেড আই খান পান্না ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
গত বছরের ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শানে রেসালাত সম্মেেনের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম। এতে হেফাজতের তৎকালীন আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বক্তব্য রাখেন।
ওই সম্মেলনের পরদিন ১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন দিরাইয়ের পার্শ্ববর্তী উপজেলা শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের যুবক ঝুমন দাস। তিনি স্ট্যাটাসে মামুনুলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ আনেন।
তবে এ সমালোচনাকে ইসলামের সমালোচনা বলে এলাকায় অপপ্রচার চালাতে থাকেন মামুনুলের অনুসারীরা। এতে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দারা ১৬ মার্চ রাতে ঝুমনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এর পরদিন কয়েক হাজার লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করে গ্রামের সংখ্যালঘুদের ঘর-বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ঝুমন দাসের বাড়িসহ হাওরপাড়ের হিন্দু গ্রামের প্রায় ৯০টি বাড়ি ও মন্দিরে ভাঙচুর-লুটপাট করে।
এরপর গত ২২ মার্চ ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় কয়েক দফায় জামিন আবেদন খারিজের পর ঝুমন দাস হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।