নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২:১৫ : অপরাহ্ণ
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের বিক্ষোভ মিছিলে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
ধাওয়া ও লাঠিপেটা করে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মৎস্যভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, অর্ডার করা পণ্য ডেলিভারি অথবা বিনিয়োগ করা টাকা ফেরতের দাবিতে ই-অরেঞ্জের প্রায় ৩০০ গ্রাহক জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১০টার দিকে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন শুরু করে।
ভুক্তভোগী কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে প্রথমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছিলেন ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা। এসময় তারা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পরে গ্রাহকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মৎস্যভবনের দিকে যাওয়ার পথে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
গ্রাহকদের দাবি, ধাওয়া ও লাঠিপেটা করে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
তবে শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার গণমাধ্যমের কাছে ঘটনাস্থল থেকে কাওকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন।
এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে ই-অরেঞ্জের ভুক্তভোগী কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আফজাল হোসেন দাবি দাওয়া তুলে ধরেন।
মিছিলে তারা ই-অরেঞ্জের মালিক পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা ও ক্রিকেটার মাশরাফির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ই-কমার্সের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন।
রমনা জোনের সহকারী কমিশনার রাজন কুমার সাহা বলেন, ‘ওরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ শুরু করে। আমরা তাদেরকে বলেছি যে, আমরা আপনাদের সহযোগিতা করবো। তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিনিধি পাঠাবেন। আমরা সেই অনুযায়ী যোগাযোগও করেছিলাম। কথা ছিল যে, তারা দুজন প্রতিনিধি পাঠাবেন। আমাদের যে ফোর্স ছিল তাদেরকে দিয়ে সচিবালয় থেকে মৎস্য ভবনের দিকে নিয়ে যাই। পরে ওরা মৎস্য ভবনে গিয়ে বসে পড়ে। তখন তাদেরকে সরাতে লাঠিচার্জ করি।’
ই-অরেঞ্জ ভুক্তভোগী কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আফজাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নিরীহ মানুষের ওপর পুলিশ কেন হামলা করবে, আমরা তো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। আমরা আবারও শাহবাগে একত্রিত হবো।