নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৫:২০ : অপরাহ্ণ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর সঙ্গে বিদেশে যেতে না পারার যে শর্ত সরকার দিয়েছে তাতে আশ্চর্য হননি বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ রোববার দুপুরে গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য তার পরিবার আবেদন করলেও সরকার অনুমতি দেয়নি। তবে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তার (খালেদা জিয়া) পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। আমরা আশা করেছিলাম, তিনি যখন অত্যন্ত অসুস্থ ছিলেন, তখনও পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তখন সেটা সরকার দেয়নি। এখন সরকার ৬ মাসের মধ্যে বিদেশ যেতে না পারার যে শর্ত জুড়ে দিয়েছে তাতে আমরা খুব আশ্চর্য হইনি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মূল বিষয়টি হলো-দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে সরকার এত বেশি ভয় পায় যে, তারা কোনোমতেই তাকে দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবতে পারেন না। এজন্য এত অসুস্থতা সত্ত্বেও তাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না সরকার।’
বিএনপি দল হিসেবে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দিতে চাপ প্রয়োগ করার কোনো সুযোগ আছে কিনা-জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বললেন, ‘দল যখন সিদ্ধান্ত নেবে, তখন চাপ প্রয়োগ করবো।’
বিএনপি মহাসচিব জানান, ‘গতকাল শনিবার বিকেলে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল মিটিং হয়েছিল। সভায় মুক্তিযুদ্ধ, ৭৫-এর পটপরিবর্তন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তার সমাধি সম্পর্কে সরকারের ‘লাগাতার মিথ্যাচারের’ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভার সদস্যরা মনে করেন যে, ইতিহাস বিকৃত করে জনগণের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের বিরুদ্ধে এ ধরনের বিকৃত অপপ্রচার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ব্যতিত কিছু নয়।’