নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১০:৪১ : পূর্বাহ্ণ
জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের পথে দেশ ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শুক্রবার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
করোনা মহামারি শুরু হওয়ার দীর্ঘ ১৯ মাস পর এটাই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর।
সফরসূচি অনুযায়ী, ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর দুই দিনের যাত্রাবিরতির পর ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্কে অবস্থান করবেন এবং ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
৭৬তম এ সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৮০ জন সফরসঙ্গী রয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আশা’। করোনা দূর করতে নতুন প্রত্যাশা নিয়ে এ প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে। এবারও প্রধানমন্ত্রী ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেবেন।
এবারের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন হবে সীমিত আকারে। চলবে দুই সপ্তাহ ধরে। ১৪ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বনেতারা বক্তব্য দেওয়া শুরু করবেন।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ২০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের প্রায় ৬১ দেশ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ঝুঁকিতে আছে। উন্নত দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী। তাদের আগ্রাসী উদ্যোগ নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে।
উন্নত দেশগুলো ২০১৫ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রতি বছর ১২০ বিলিয়ন ডলার তহবিলে জমা দেবে। ২০২০ সালে এ তহবিলে প্রতিশ্রুতির অর্থ জমা দেওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সেখানে জোরালো আলোচনা করা হবে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তন, নদীভাঙনসহ নানা কারণে বহুলোক ঘরবাড়ি হারাচ্ছে। ২০৫০ সালে এটি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার কথা। এসব নিয়ে আলোচনা হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়টি একটি বড় ইস্যু হিসেবে আলোচনা থাকছে। টিকা নিয়েও আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন কোনো শর্ত ছাড়াই সব দেশের টিকা পাওয়া উচিত। এ ছাড়া রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হবে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী গ্রুপের সঙ্গে পৃথক একটি বৈঠক করবেন। ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হবে।