নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৮:৩০ : অপরাহ্ণ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলায় গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে কোটালীপাড়া আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুর রহমান এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণী সূত্র জানা যায়, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের ২১ নেতা–কর্মীসহ গোপালগঞ্জ জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি দেলোয়ার এবং তার বাবা হাসেম সরদারের নাম উল্লেখ করে তাদের রাজাকার, পাকিস্তানিদের দোসর ও যুদ্ধাপরাধী বলেন।
ওই সংবাদটি ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন সরদারের মানহানি হয়।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রকাশক সালমা ইসলামকে আসামি করে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দেন। সিআইডি দীর্ঘ ২ বছর ১ মাস তদন্ত করে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রকাশক সালমা ইসলামের নাম বাদ দেন।
অন্য সব ধারা বাদ দিয়ে শুধু দণ্ডবিধির ৫০০ ধারা (মানহানি) রেখে ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই তারিখে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শরিফুল রহমান রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
সমনের পরেও হাজির না হওয়ায় আজ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এ বিষয়ে মামলার বাদী দেলোয়ার সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আমার বয়স ছিল ১০ বছর। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ২১ জন নেতাসহ আমি ও আমার পিতাকে রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী ও পাকিস্তানিদের দোসর বলে উল্লেখ করেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আমার ও আমার পিতার সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করা হয়।