‘বাইরে চিৎকার করার প্রয়োজন ছিল না’, ফখরুলকে কাদের

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কথা বলার সুযোগ তো অবারিত ছিল। বিএনপি মহাসচিবের বাইরে চিৎকার করার প্রয়োজন ছিল না। তার সংসদে গিয়ে কথা বলার সুযোগ ছিল। নির্বাচিত হয়েও সংসদে না গিয়ে ফখরুল দ্বিচারিতা করেছেন।’

আজ মঙ্গলবার সকালে তার বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু তিনি নির্ধারিত সময়ে শপথ না নেওয়ায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

সরকারকে ফ্যাসিবাদী বলার আগে বিএনপিকে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখার আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির শাসনামলে তারাই ফ্যাসিবাদি চর্চা করেছিল। তাহলে দেখতে পাবেন নিজেরাই ফ্যাসিবাদের উত্তরাধিকার বহন করছে এবং তাদের মধ্যে বিরাজ করছে ফ্যাসিবাদি মানসিকতা।’

সরকার ব্যর্থতা আড়াল করতে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে-বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার দমন-পীড়নে বিশ্বাসী নয়, গঠনমূলক সমালোচনাকে সরকার সবসময় স্বাগত জানায়। বিএনপি এমন রাজনৈতিক দল, যারা গত তেরো বছরে সরকারের একটি সফলতাও দেখতে পায়নি, শুধু দেখেছে কথিত ব্যর্থতা।’

বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলি টানেল, বিআরটি, সারাদেশে ২২টি ফ্লাইওভার, ২০টির মতো আন্ডারপাসসহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ তাদের চোখে পড়ে না। এসব উন্নয়ন দেখে আসলে বিএনপির গাত্রদাহ হয়।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে শতভাগ বিদ্যুৎ সারাদেশে পৌঁছেছে, এটাও বিএনপির বিদ্বেষের কারণ। দুই হাজার ২২৭ ডলার মাথাপিছু আয়, এই বিস্ময়কর অগ্রগতি বিএনপির সহ্য হয় না। সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বিএনপি নেতারা মনের শান্তি ও স্বস্তি খোঁজেন। কিন্তু তারা নিজেদের ব্যর্থতা চিহ্নিত করার কোনো উদ্যোগ বা প্রয়াস চালান না।’

কর্মী-সমর্থকদের ধাঁধার মধ্যে রেখে বিএনপি নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে চায় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সার্বক্ষণিক সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে অথচ তারা বলে তাদের কথা বলার সুযোগ নাকি কম আসছে। প্রতিদিন তাদের বক্তব্য পত্রিকায়, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আসছে, সংসদে আসন সংখ্যা অনুযায়ী প্রাপ্ত সময়ের বেশি সময় দেওয়া হচ্ছে, তাও বলে কথা বলতে নাকি কম সময় দেওয়া হচ্ছে?’