রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১০:৩০ : পূর্বাহ্ণ
যুদ্ধের সময়ে কাবুলে আমেরিকা ও আফগান সেনাবাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে তাদের নাকের ডগায় ছিলেন তিনি। তাও কিছুই করতে পারেনি তারা।প্রায় এক দশক পর সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানালেন তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।
তার কথায়-‘ক্রমাগত চেষ্টার পরও ধরতে না পেরে আমায় ওরা ভূত ভাবতে শুরু করেছিল। ভেবেছিল মুজাহিদ নামে হয়তো কেউ নেই। কিন্তু কাবুলে গোটা সময় ধরে ছায়ার মতো ওদের পিছনেই ছিলাম।’
মুজাহিদ জানান, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের নওসেরায় হাক্কানিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করেছেন তিনি। ওই প্রতিষ্ঠান গোটা বিশ্বে তালেবান বিশ্ববিদ্যালয় নামেই পরিচিত। অনেকে আবার জিহাদের বিশ্ববিদ্যালয় বলেও অভিহিত করেন।
শুধু তিনিই নন, আফগানিস্তানের কার্যনির্বাহী তালেবান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানি থেকে শুরু করে পানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী মোল্লা আবদুল লতিফ মনসুর, টেলিকম মন্ত্রী নাজিবুল্লাহ হাক্কানি, শিক্ষামন্ত্রী মওলানা আব্দুল বাকি হাক্কানি প্রত্যেকেই ওই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন বলে জানান তিনি।
আমেরিকার সেনাবাহিনী আফগানিস্তান আক্রমণ করার পরও কাবুলে থেকেই তিনি সংগঠনের কাজ করে গেছেন বলে দাবি করেছেন।
জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘আমাকে ধরার জন্য বহু তল্লাশি চালিয়েছে ওরা। প্রত্যেকবার আমিও ওদের চোখের সামনে থেকে পালিয়েছি। গোটা আফগানিস্তান ঘুরেছি। সব সময়ে সামনের সারির নেতাদের সাথে যোগাযোগে ছিলাম। তাদের পাকা খবর দিতাম। একটা সময়ে আমেরিকান সেনাবাহিনী ধারণা হয়েছিল, মুজাহিদ নামে কোনো একজন নয়, একাধিক ব্যক্তি রয়েছে।’
তার খোঁজ পেতে স্থানীয়দের প্রচুর টাকা দিয়েছিল আমেরিকা সেনাবাহিনী। প্রচুর চর নিয়োগ করা সত্ত্বেও তাকে ধরতে পারেনি বলেই দাবি করেছেন তিনি।
জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘কোনো দিন আফগানিস্তান ছাড়ার চেষ্টা করিনি। এমনকি আফগানিস্তান ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার কথা ভাবিওনি।’
আনন্দবাজার পত্রিকা অবলম্বনে