নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৪:৪০ : অপরাহ্ণ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত ও মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়াতে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। তবে খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে হলে এখন তাকে কারাগারে গিয়ে নতুন করে আবেদন করতে হবে।
আজ রোববার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনে আইন কমিশনের রজতজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর আবেদন পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই। তবে আবেদন করলেই তা অনুমোদন হয়ে যাবে এমন নয়, এটা সরকারের ওপর নির্ভর করবে।
গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। পরে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে মতামত দিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠান। সেখান থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য এই আবেদন যায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ প্রথমে ছয় মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি দেয়া হয় খালেদা জিয়াকে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১ এ খালেদা জিয়ার সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে দেশে বিশেষায়িত চিকিৎসা নেয়ার শর্তে মুক্তি দেয়া হয়।
পরে দফায় দফায় দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়। দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২৪ সেপ্টেম্বর। এর আগেই মুক্তির মেয়াদ আরও এক দফা বাড়ানোর আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। এই মামলায় বন্দি থাকাকালেই তার বিরুদ্ধে হয় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা। এ মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড পান বিএনপি নেত্রী। আগের মামলায় হাইকোর্টে আপিল করার পর সাজা হয় দ্বিগুণ। ফলে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর।