নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১১:৩০ : পূর্বাহ্ণ
করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর আজ রোববার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া দেশের অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলেছে। এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে উৎসবের আমেজ। প্রাণোচ্ছল রুপ ফিরে পেয়েছে শিক্ষাঙ্গন।
শিক্ষক ও কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছেন।
দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা স্কুলগুলোতে স্বাস্থবিধি মেনে প্রবেশ করছে।
এসময় স্কুলগুলোর ফটকে শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা মেপে প্রবেশ করানো হচ্ছে। তাদেরকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ফটকে স্কুলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষকদেরও অবস্থান করতে দেখা গেছে।
সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে কি-না, তা পরিদর্শন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই মন্ত্রী রাজধানীর দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন।
দিনের শুরুতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের অনেক এলাকাতেই দেখা গেছে পথে পথে ছেলেমেয়েরা হেঁটে যাচ্ছে। কেউ অভিভাবকের সাথে। কেউ সহপাঠীদের সাথে দল বেঁধে। কেউবা একাকী। তাদের পরনে স্কুলপোশাক। পিঠে ব্যাগ।
সম্ভাবনা ও শঙ্কার মধ্য দিয়ে আজ থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়েছে।
করোনার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে বসে টিফিন খেতে পারবে না বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক আরও বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবাসিক শিক্ষার্থীদের হোস্টেল চালানোর জন্যও ১৪টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। সেগুলো মেনেই হোস্টেল পরিচালনা করতে হবে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়—দেশে করোনার সংক্রমণ দ্রুত কমে যাচ্ছে। জুলাই মাসের তুলনায় সংক্রমণ ৭০ শতাংশ কমেছে। এ অবস্থায় ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। প্রথম দিন চার-পাঁচ ঘণ্টা ক্লাস হবে। পর্যায়ক্রমে এই ক্লাসের সংখ্যা বাড়বে।
মাধ্যমিক পর্যায়ে দিনে কয়টি ক্লাস হবে, তা মাউশি আগেই জানিয়েছে। এবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দিনে তিনটি করে ক্লাস হবে। এই সময়সূচি সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়।
সময়সূচি অনুযায়ী, পঞ্চম শ্রেণিতে প্রতিদিন তিনটি করে ছয় দিন ক্লাস হবে। শনিবার চতুর্থ শ্রেণি, রোববার তৃতীয় শ্রেণি, সোমবার দ্বিতীয় শ্রেণি ও মঙ্গলবার প্রথম শ্রেণির ক্লাস হবে। সময়সূচিতে বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। এই সূচি আপাতত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
গতকাল শনিবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘করোনা সংক্রমণ কমে আসায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে, সংক্রমণ বেড়ে গেলে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্বান্ত নেওয়া হতে পারে।’