শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা অন্যান্য দল

তালেবানদের ‘মুক্তিযোদ্ধা’ বললেন ডা. জাফরুল্লাহ



নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৬:৩০ : অপরাহ্ণ

আফগানিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তালেবানদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘তারা ২০ বছর সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে ক্ষমতায় এসেছে। আর যাই হোক না কেন তালেবানরা মুক্তিযোদ্ধা। তাদের ভুল-ভ্রান্তি হলে সেগুলো ধরিয়ে দেন। তাদেরকে সেইভাবে সাহায্য করেন। অকারণে তাদেরকে বিভ্রান্তির পথে, সাম্রাজ্যবাদীদের দিকে ছুড়ে দেবেন না।’

আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সকালে একটি মানববন্ধনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা তালেবানের সমালোচনা করে বলেন, তালেবানরা নারীদের ঘরে বন্দি করে রেখেছে। তাদের অধিকার খর্ব করেছে। আজ যদি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করা হয়, তাহলে বাংলাদেশ একদিন তালেবান রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

সিপিবি নেতাদের দেওয়া এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির মানববন্ধনে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমি যখন এখানে (মানববন্ধনস্থল) এসে পৌঁছাই, তখন কমিউনিস্ট পার্টি তালেবান মেয়েদের অধিকার দিচ্ছে না, তার প্রতিবাদে কথা বলেছে। আমি বেবো, বন্ধুরা বিএনপির গঠনতন্ত্রে আছে শতকরা ৩৩ ভাগ নারী হতে হবে। এমন আওয়ামী লীগেও আছে। কমিউনিস্ট পার্টিতে দেন তো? আগে নিজের ঘর ঠিক করেন। নিজের ঘরে আগুন লাগছে, সেই আগুন আগে নেভান।’

এ সময় বিচার বিভাগের প্রশংসা ও সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি একটি খুনের মামলায় দুই বিচারপতি বাংলাতে রায় দিয়েছেন। তাদের অভিনন্দন। একইভাবে যখন পরীমণিকে হয়রানি করা হচ্ছিল তারা দুই বিচারপতি প্রতিকারের চেষ্ঠা করেছেন। আমাদের যে হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্ট আছে। তারমধ্যে সবচেয়ে গুণী ও সজ্জ্বন বিচারপতি হলেন বিচারপতি এনায়েতুর রহিম। আর সবচেয়ে খারাপ হচ্ছে এ বি এম খায়রুল হক।’

এনায়েতুর রহিমকে উদ্দেশ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আজকে আপনি যদি আর একটু সাহসিকতা না দেখান, এদেশের মানুষ কোথায় যাবে? এদেশের গণতন্ত্র হত্যার হোতা একজন বিচারপতি। তিনি এবিএম খায়রুল হক। আমি আইনের লোক না। আপনি এক রায় লিখলেন তিনমাস পর, আবার বদলানেন। আপনারা বিচারপতিরা তাকে সুয়োমটো (আদালত কোন বিষয়ে স্বপ্রনোদিত হয়ে আদেশ দেয়া) করে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে এনে দাঁড় করান। গণতন্ত্র হত্যার মূল নায়ক এবিএম খায়রুল।’

জাফরুল্লাহ বলেন, ‘উনি অবসরের পর আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হলেন। প্রধান বিচারপতির সুযোগ সুবিধা নিলেন। এটা কি দুর্নীতি না। যে দুর্নীতির অপরাধে খালেদা জিয়ার দুই কোটি টাকার জন্য মামলা হয়েছে।’

এ সময় তিনি বিচারপতি এনায়েতুর রহিমকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি তো জানেন, খুনের আসামিরও জামিন হয়। আপনি যেখানে বসে আছেন, সেখানে রায় হয়। এক রিকশাওয়ালা তার স্ত্রীকে হত্যা করেছিল তার নিম্ন আদালতে ফাঁসির রায় হয়। যা সব আদলতেই বহাল থাকে। তবে মৃত্যুদণ্ডের আগ পর্যন্ত সে জামিনে ছিল। এ উদাহরণ তো আপনারাই তৈরি করেছিলেন। তাহলে খালেদা জিয়ার কেন জামিন হবে না।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর