নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৪:১৫ : অপরাহ্ণ
ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পক্ষে ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা বাদ দিয়েছেন, শুধু আজীবন আওয়ামী লীগ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন করার জন্য। যে নির্বাচনে আগের রাতে ভোটকেন্দ্র দখল করা হবে।’
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা। ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এই সভার আয়োজন করে।
উল্লেখ্য, গত দুদিন আগে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন।
মির্জা ফখরুল প্রশ্ন রাখেন, ‘উনি (শেখ হাসিনা) নির্বাচনের কথা বলেছেন, তার দলের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। কোন নির্বাচন? যে নির্বাচন শুধুমাত্র আপনাকে নির্বাচিত করবে সেই নির্বাচন, যে নির্বাচনে আমাদের জনগণ যারা ভোটার আছে তারা ভোট দিতে যেতে পারবে না, এমনকি তাদের বাড়িঘরে আক্রমণ করা হবে, ভোটকেন্দ্রে গেলে তাদেরকে বেইজ্জতি করা হবে, নির্যাতন করা হবে সেই নির্বাচন? যে নির্বাচনের আগের রাতেই আপনারা দখল করে নিয়ে চলে যাবেন সেই নির্বাচন? যে নির্বাচন আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার আরেকটা পথ সুগম করবেন সেই নির্বাচন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশে আর সে রকম নির্বাচন হবে না। নির্বাচন কমিশন গঠন হবে ঠিক, যখন সত্যিকার অর্থে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যবস্থা করা হবে। সেই কমিশনের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে। আর তার আগে অবশ্যই দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। একই সঙ্গে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দি রাখা রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরকে মুক্তি দিতে হবে। আর ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা আছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। তার আগে কোনো নির্বাচন হবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সারা জীবন মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। আজ তিনি গৃহবন্দি। এই মহান নেত্রী বাংলাদেশে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে অবদান রেখেছেন, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ।