নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৫:০৫ : অপরাহ্ণ
করোনা মহামারির মধ্যে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব ধরেনর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এদিন থেকেই শ্রেণিকক্ষে শুরু হবে পাঠদান।
আজ রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর ও আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস হবে প্রতিদিন। বাকিদের ক্লাস হবে সপ্তাহে এক দিন। তবে প্রাথমিকভাবে পূর্ণঘণ্টা ক্লাস হবে না। চার ঘণ্টা, পাঁচ ঘণ্টা করে ক্লাস নেয়া হবে। তারপর ধীরে ধীরে ক্লাসের সময়সূচি স্বাভাবিক করা হবে।’
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
বাংলাদেশে গত বছর ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৭ মার্চ থেকে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। নানা সময়ের শিক্ষক-অভিভাবকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদের জানান, পরিস্থিতি সাপেক্ষে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তারপরই গত শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চাঁদপুরে এক অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আশা করছি, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আমাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অর্থাৎ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক আমরা খুলে দিতে পারব ইনশাআল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যাপারে আমরা আবারও বসব। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল নেয়।’
গতকাল শনিবার চট্টগ্রামে শিক্ষা উপমন্ত্রী ‘সপ্তাহে একদিন ক্লাসের’ কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আগামী এসএসসি ও এইসএসসি পরীক্ষাও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া অ্যাসাইনমেন্ট প্রক্রিয়া এখনকার মতোই স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে নতুন পদ্ধতির সিলেবাসও তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আগামীতে নতুন সিলেবাসে লেখাপড়া শুরু হবে।’
সবশেষ আজ আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী চূড়ান্তভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা জানালেন।