শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা নির্বাচন

সিলেট-৩ আসনে ভোট চলছে

শেষ হাসি কে হাসবেন, হাবিব না আতিক



প্রতিনিধি, সিলেট প্রকাশের সময় :৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৯:৪৫ : পূর্বাহ্ণ

সিলেট-৩ শূন্য আসনের উপনির্বাচন আজ। সকাল ৮টা থেকে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা-প্রচারণা। যদিও ভোটের প্রচারে প্রার্থীরা সময় পেয়েছেন মাত্র একদিন।

দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে সিলেট-৩ আসন গঠিত।

আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৩ জন। ভোটকেন্দ্র হলো ১৪৯টি।

গত ১১ মার্চ করোনায় এ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয় ১৪ জুলাই।

পরে করোনা পরিস্থিতির কারণে দুই সপ্তাহ পিছিয়ে ভোটের তারিখ নির্ধারণ হয় ২৮ জুলাই। কিন্তু করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশে আরও এক দফা ভোট পেছানো হয়। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর ভোটের তারিখ নির্ধারিত হয়।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন-আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল), বিএনপি থেকে বহিস্কৃত ও সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমেদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া (ডাব)।

প্রার্থী হলেও তেমন প্রচারে ছিলেন না জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া। তবে অন্য তিন প্রার্থী জোরেশোরে প্রচারণা চালিয়েছেন।

নির্বাচনে বিএনপি অংশ্রগ্রহণ না করায় মূলত ভোটের লড়াইটা হচ্ছে নৌকা ও লাঙ্গল প্রতীকের মধ্যে।

সিলেট-৩ আসন এক সময় জাতীয় পার্টির ঘাটি হিসেবে পরিচিত ছিলো। এই আসনে তিনবার সাংসদ হন জাতীয় পার্টির মুকিত খান। ২০০১ সালের নির্বাচনে এখানে প্রথমবারের মতো বিজয়ী হন ধানের শীষ প্রতীকের শফি আহমদ চৌধুরী।

এরপরের তিনটি নির্বাচনেই বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী।

এবার বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় শফি আহমদ চৌধুরীকে নির্বাচন করতে হচ্ছে পুরোটাই ব্যক্তি ইমেজের উপর। তবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দুই প্রার্থীর মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।

হাবিবের পক্ষে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির পক্ষে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা এসেও প্রচারে অংশ নিয়েছেন।

তবে দলীয় কর্মীদের বাইরে নীরব ভোটাররাই নির্বাচনে ব্যবধান গড়ে দেবেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। নীরব ভোটারদের যিনি পক্ষে নিয়ে আসতে পারবেন ও ভোটকেন্দ্রে আনতে পারবেন তার এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।

সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানান, ভোটকেন্দ্র এবং আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে রয়েছেন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭-১৮ জন সদস্য। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর