নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৭:৫০ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম নগরীতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীদের মিছিলে পুলিশের বাধা ও পরে সংঘর্ষ-লাঠিপেটার ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৩ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়।
পুলিশের লাঠিপেটায় অন্তত ১০ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে নগরীর কাজীর দেউড়ি নূর আহমদ সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে নগর বিএনপির আলোচনা সভা ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ওই সভায় যোগ দিতে কাজীর দেউড়ি মোড়ে জড়ো হচ্ছিল বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
নগরীর ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে নূর আহমদ সড়ক হয়ে নাসিমন ভবনের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। তখন পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে।
পুলিশের ধাওয়ায় নেতা-কর্মীরা সংলগ্ন অ্যাপোলো শপিং সেন্টার, পুরনো বিমান অফিস ও পার্টি অফিসের সামনে এসে আশ্রয় নেয়। সেখানেও পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ১০ থেকে ১৫ মিনিট পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে।
তবে পুলিশের বাধার পরও নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে বিএনপির সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। নাসিমন ভবনের বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।
কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপির নেতা–কর্মীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছিলেন। সে জন্য তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। এরপর তারা পুলিশের ওপর হামলা করার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরোনো মামলার আসামি আছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বিনা উসকানিতে হামলা চালিয়েছে। নেতা-কর্মীদের অহেতুক লাঠিপেটা করেছে। অন্তত ১৩ জন নেতা-কর্মীকে আটক করে নিয়ে গেছে।
এর আগে গত ২৯ মার্চ নগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দলীয় সমাবেশ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। তাতে বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।