নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৬:০৭ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম নগরীতে দীর্ঘ ৫ মাস পর দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র্যালি ও সমাবেশ করে আবার সরব হয়েছে বিএনপি।
গত পাঁচ মাস ধরে চট্টগ্রাম নগরীতে অনেকটা নীরব ছিলো বিএনপি। বলতে গেলে রাজপথে কার্যকর কোনো কর্মসূচি ছিল না। দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের চার দেয়ালের ভেতরে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ, ডেঙ্গু সচেতনতায় লিফলেট বিতরণ ও নেতাদের রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল কর্মসূচি পালন করে দিন পার করে আসছিলো বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
গত ২৯ মার্চ দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়। এ ঘটনার পর ১ মাস ২৩ দিন তালাবদ্ধ ছিল নগর বিএনপির নাসিমন ভবন দলীয় কার্যায়। গ্রেপ্তারের ভয়ে আত্মগোপনে চলে যান দলটির দায়িত্বশীল নেতারা।
এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি ১ মাস ২২ দিন পর গত ১৯ মে কারাগার থেকে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর ডা. শাহাদাত করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ, ডেঙ্গু সচেতনতায় লিফলেট বিতরণ ও নেতাদের রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল কর্মসূচি পালন করে নেতা-কর্মীদের আবার সক্রিয় করার চেষ্টা করেন।
পাঁচ মাস পর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে সরব হয়ে উঠলেন নগর বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে র্যালিতে সংগঠনটির হাজারো নেতা-কর্মী অংশ নেন। এর আগে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নগরীর দুই নম্বর গেইট বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
সমাবেশে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে পাকিস্তানি সেনা অফিসার কর্নেল জানজুয়াকে হত্যা করে উই রিভোল্ট বলে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। তিনি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে তিনি বাংলাদেশকে শত্রুমুক্ত করেছেন। তার ঘোষণায় বাংলার মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলো। এটাই ইতিহাস।
এ বিএনপি নেতা বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ করছি, যদি এর বাইরে অন্য কোন ইতিহাস থাকে, তাহলে দালিলিক প্রমান দিন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারই জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করেছে। কিন্তু বর্তমান সরকার সে ইতিহাসকে বিকৃত করে নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে বিভিন্ন অপবাদের বুলি ছুড়ছেন। কারণ জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তাকে আওয়ামী লীগ ভয় পায়। তাই তারা তাদের নামে কুৎসা রটিয়ে জনবিচ্ছিন্ন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। দেশের মানুষ এখন তাদের এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা বিশ্বাস করে না।
চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য কামরুল ইসলামের পরিচালনায় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, এস কে খোদা তোতন, কাজী বেলাল উদ্দীন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য মাহবুবুল আলম, এস এম আবুল ফয়েজ, আর.ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু প্রমুখ।