শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

পাইলট নওশাদ আর নেই



নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৩০ আগস্ট, ২০২১ ২:৫৫ : অপরাহ্ণ

মধ্য আকাশে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়ার পর জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম। হাসপাতালে টানা ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় তিনি কোমায় ( সম্পূর্ণ অচেতন) ছিলেন। এই অবস্থা থেকে জীবনের ডাকে আর ফিরতে পারলেন না তিনি। বিদায় নিলেন চিরতরে।

আজ সোমবার স্থানীয় সময় ১০টা ৪৫ মিনিটে ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে তার ভ্যান্টিলেশন খুলে দেওয়া হয় এবং তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত শুক্রবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ওমানের মাসকাট থেকে ঢাকায় ফিরছিল। এ সময় মধ্য আকাশে বিমানের পাইলট ক্যাপটেন নওশাদ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন।

অসুস্থ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাপ্টেন নওশাদ কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।

কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে ভারতের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান। বিমানের যাত্রীরা সবাই নিরাপদে ছিলেন।

অপরদিকে নাগপুরের বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের পর পাইলট নওশাদকে সেখানকার কিংসওয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

শনিবার রাতেই নওশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তিনি ‘কোমায়’ চলে যান।

গতকাল রোববার দুপুরে নওশাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিমানের বেশ কয়েকটি অসমর্থিত সূত্র তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নওশাদের মৃত্যুর ঘোষণা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেয়নি।

ক্যাপ্টেন নওশাদ ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ হলেও স্বজনরা লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন তারা। এরপর আজ সোমবার তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দিয়ে নওশাদকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর