নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৯ আগস্ট, ২০২১ ২:০৯ : অপরাহ্ণ
মধ্য আকাশে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে তিনি ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি কোমায় রয়েছেন।
আজ রোববার বিমানের একটি সূত্রে জানা গেছে, আইসিইউতে কোমায় থাকা নওশাদ ক্লিনিক্যালি ডেড। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে অনুমতির অপেক্ষা করছে।
তবে নওশাদের স্বজনরা এখনই লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে চাচ্ছেন না। তাদের দাবি, নতুন করে মেডিকেল বোর্ড বসানো হোক। পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর তারাই সিদ্ধান্ত দিক। এ দাবিতে বিমান কর্তৃপক্ষেরও সায় রয়েছে।
গত শুক্রবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ওমানের মাসকাট থেকে ঢাকায় ফিরছিল। এ সময় মধ্য আকাশে বিমানের পাইলট ক্যাপটেন নওশাদ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন।
অসুস্থ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাপ্টেন নওশাদ কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।
কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে ভারতের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান। তারা সবাইই নিরাপদে ছিলেন।
অপরদিকে নাগপুরের বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের পর পাইলট নওশাদকে সেখানকার কিংসওয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
সর্বশেষ হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রোশান ফুলবান্ধে জানিয়েছিলেন, ক্যাপ্টেন নওশাদের অবস্থা গুরুতর। তিনি সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনের সহায়তায় বেঁচে আছেন। তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি কোমায় আছেন।
এদিকে শুক্রবার আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।