নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৯ আগস্ট, ২০২১ ৩:১০ : অপরাহ্ণ
আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে দেশের প্রথম মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে পল্লবী পর্যন্ত চারটি স্টেশনের মধ্যে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ট্রেনটি ৬টি বগি নিয়ে ভায়াডাক্টের ওপর দিয়ে দিয়াবাড়ি ডিপো থেকে মিরপুর ১২ নম্বর স্টেশন পর্যন্ত গিয়ে আবার ডিপোতে ফিরে আসে।
মেট্রোরেলের ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলার ক্ষমতা থাকবে, তবে আপাতত পারফর্মেন্স টেস্টের অংশ হিসেবে পাঁচ কিলোমিটার গতিতে রেলটি চলবে। এরপর আস্তে আস্তে গতি বাড়ানো হবে। সবশেষে ২৫ কিলোমিটার গতিতে রেলটি চালিয়ে দেখা হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটি একটি মাইলফলক। মেট্রোরেল এখন আর স্বপ্ন নয়, এটি দৃশ্যমান বাস্তবতা। সমালোচকরা সমালোচনা ও অপপ্রচার করবে, আমরা জবাব দেবো কাজে। শেখ হাসিনা সরকার কাজেই জবাব দেয়। আমরা মেট্রোরেল, পদ্মাসেতুসহ মেগা প্রজেক্ট দিয়ে জবাব দিচ্ছি।’
উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের প্রথম মেট্রোরেলের (এমআরটি-৬) নির্মাণকাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে লাইনটি মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এক দশমিক ১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করা হবে।
মেট্রোরেল পুরোপুরি বিদ্যুৎ চালিত রেল। বাংলাদেশে এই প্রথম বিদ্যুৎ চালিত কোনো রেল চালু হতে যাচ্ছে। ফলে এটি চালু হলে ঢাকার প্রবল যানজট সমস্যার অনেকাংশে সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মেট্রোরেল মূলত পল্লবী হয় রোকেয়া সরণি ধরে এগুবে। শাহবাগ, টিএসসি হয়ে চলে যাবে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত। এর মাঝে ঢাকার ব্যস্ত ফার্মগেটসহ মেট্রোরেল থামবে গুরুত্বপূর্ণ সব স্টেশনে।
২৪টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় আপ ও ডাউন রুটে ৬০ হাজার যাত্রী আনা নেয়া করতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
মেট্রোরেলের যাত্রী ভাড়া, কোন স্টেশনে কতক্ষণ থামবে, কত যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে এসব এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
দুই ধাপের পরীক্ষার পর আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চালু করার আগে এসব বিষয় নির্ধারিত হতে পারে।
মেট্রোরেলের পুরো প্রকল্পে খরচ হবে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে জাপানের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা জাইকা দিচ্ছে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা।
২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার মেট্রোরেল উদ্বোধন করতে চায়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর জুনের মধ্যে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে, এরপর কর্ণফুলী সেতুর উদ্বোধন হবে। বছর শেষে ইনশাআল্লাহ শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প মেট্রোরেল তিনি নিজেই উদ্বোধন করবেন।