রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৮ আগস্ট, ২০২১ ১০:৪৫ : পূর্বাহ্ণ
আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হুমকির পরই পদক্ষেপ নিলো পেন্টাগন। শুক্রবার কাবুলের পূর্বে পাকিস্তান সীমান্তে নানগাহার প্রদেশে এই হামলা চালানো হয়। ড্রোন হামলায় আইএসের মূল ‘পরিকল্পনাকারীকে’ হত্যার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আফগানিস্তানের মাটিতে এই ড্রোন হামলা নিয়ে আমেরিকার সেন্ট্রাল কমান্ডের ক্যাপ্টেন বিল আর্বান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের নানগরহর প্রদেশে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। মানবহীন এই অভিযানের প্রাথমিক ইঙ্গিতে মনে হচ্ছে আইএসের মূল পরিকল্পনাকারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, বিমানবন্দরে হামলার পর সেনা কর্মকর্তারা আফগানিস্তানে আইএস ঘাঁটিতে হামলার অনুমোদন চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তা অনুমোদন করেন। তারপরই নানগাহারে ড্রোন হামলা চালানো হয়।
বৃহস্পতিবার কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছিল ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (আইএস-কে)। ভয়াবহ সেই হামলায় এখন পর্যন্ত ১৭৫ জন মানুষ মারা গেছেন। হামলায় ১৩ জন মার্কিন সেনাও নিহত হয়েছেন। বাকিরা সবাই বেসামরিক আফগান নাগরিক।
এই হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবারই ব্যাপক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমা করবো না, এই হামলার কথা ভুলেও যাবো না। হামলাকারীদের অবশ্যই খুঁজে বের করবো এবং জড়িতদেরকে এর মূল্য দিতে হবে।’
এদিকে শুক্রবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কাবুল বিমানবন্দরে আবার সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে জানিয়েছেন দেশটির গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
এর জেরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিমানবন্দরের বিভিন্ন গেটে অবস্থান করা মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে সেখান থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কাবুলের মার্কিন দূতাবাস।