নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৬ আগস্ট, ২০২১ ৯:৪০ : অপরাহ্ণ
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে তার কবর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
‘২১ আগস্টের চক্রান্তমূলক গ্রেনেড হামলা’ শীর্ষক ‘ইতিহাস কথা কয়’ ব্যানারে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকেই আওয়ামী লীগের সভানেত্রী যিনি নিশিরাতের ভোটের মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, তিনি আজকেও আবার বিষোদগার করেছেন আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের বিরুদ্ধে। তিনি তার (জিয়াউর রহমান) সমাধি সম্পর্কে কথা বলেছেন, তার একাত্তর সালের যুদ্ধের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেছেন। এটা একটা হাস্যকর বক্তব্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) রেখেছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই বক্তব্যগুলো থেকে প্রমাণিত হয় যে, এরা কতটা প্রতিহিংসাপরায়ন। যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন তার ন্যূনতম যে স্বীকৃতি, সেই স্বীকৃতি দিতেও তারা নারাজ। আজকে এটা ঐতিহাসিকভাবে সত্য, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তিনি রণাঙ্গনে থেকেই যুদ্ধ করেছেন, রণাঙ্গনে থেকেই যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। এটা দিবালোকের মতো সত্য যে, তিনি (জিয়াউর রহমান) যেদিন শাহাদতবরণ করেন, সেদিন এদেশের লাখ লাখ মানুষ তার জন্য কেঁদেছিল এবং মানিক মিয়া এভিনিউতে লাখ লাখ মানুষ তার জানাজায় অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তিনি যে কত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ২১ আগস্ট একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের প্রথম সোপান ছিল। প্রকৃতপক্ষে ২১ আগস্ট একটি সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত বাংলাদেশকে আবার গণতন্ত্রহীন করার জন্য, বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নগুলোকে ভেঙে চুরমার করে দেওয়ার জন্য, বাংলাদেশ যে একটি সত্যিকার অর্থে সুখী-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মিত হবে, সেই স্বপ্নকে পুরোপুরি ভেঙে দেওয়ার জন্য ২১ আগস্ট।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২১ আগস্ট এবং এক-এগারো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ১/১১ ঘটনার জন ২১ আগস্ট ছিল একটা প্রাথমিক চক্রান্ত। ঝুঁকিটা বড় ছিল। ঘটনা বলুন, দুর্ঘটনা বলুন, আমরা এর ঘোরতর বিরোধী। বিএনপি সবসময় যে কোনো রকম অন্যায়, হত্যা এবং সংঘাতের বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক দল। সেজন্য ওই সময়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, মন্ত্রিসভার সদস্যরা ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং খালেদা জিয়া তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতার (শেখ হাসিনা) বাসায় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে যেতে দেওয়া হয়নি, বাধা দেওয়া হয়েছিল।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ।
আরও পড়তে পারেন:
চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার লাশ নেই, বিএনপি এতো নাটক করে কেন: প্রধানমন্ত্রী