নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৬ আগস্ট, ২০২১ ৩:৩০ : অপরাহ্ণ
সম্প্রতি রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর নেই। তারপরও বিএনপি সেখানে গিয়ে বিশৃঙ্খলা করে। সেখানে গিয়ে মারামারি ধস্তাধস্তি কেন? মারামারি ধস্তাধস্তির অভ্যাস তাদের এখনও যায়নি।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, ‘বিএনপি কি জানে না, সেখানে জিয়ার লাশ নেই? তাহলে এতো নাটক করে কেন? এটা তো খালেদাও ভালো করে জানে। তারেক কি বলতে পারবে, তারা লাশ দেখেছে? সেখানে একটি বাক্স আনা হয়েছিল। এরশাদই বলেছে, সেখানে কমব্যাট ড্রেস পরা ছিল। জিয়া তখন প্রেসিডেন্ট। সে কি কমব্যাট ড্রেস পরতো? এটা কি বিএনপি জানে না?’
জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান কোথায়, কোন গ্রাউন্ডে যুদ্ধ করেছেন তার কিন্তু কোনো ইতিহাস নেই। সে কখনো অস্ত্র হাতে সামনাসামনি যুদ্ধ করেনি। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে নেতৃত্বে ছিল। কিন্তু যুদ্ধ লাগলেই দূরে থাকতেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় সোয়াত জাহাজ থেকে পাকিস্তানিদের জন্য অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিলেন। তখন পাবলিক তাকে ঘেরাও করে ধরে নিয়ে আসে। ৭ মার্চের ভাষণ প্রথম পাঠ করেন হান্নান সাহেব। পরে একে একে সবাই পাঠ করে। কিন্তু নেতা-কর্মীরা মনে করেন, কোনো সামরিক অফিসারকে দিয়ে পাঠ করালে যুদ্ধ মনে হবে। তখন মেজর রফিক যুদ্ধে ছিলেন। সেখান থেকে আসা সম্ভব ছিলো না। তাই জিয়াউর রহমনকে দিয়ে পাঠ করান। তবে প্রথমে পাঠ করতে তার অনেক আপত্তি ছিল। সেভাবেই তার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতা ও অস্তিত্বে কখনও বিশ্বাস করতেন না। তাকে ধরে এনে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্র পাঠ করানো হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পরও জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। তাকেই খন্দকার মোশতাক দোসর হিসেবে পেয়েছিল। সেই ছিল তার মূল শক্তি। মোশতাক-জিয়া মিলেই চক্রান্ত করেছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির পিতা স্নেহ করতেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত স্নেহ করতেন। মর্যাদা দিতেন। সেজন্য সেনাবাহিনীতে উপ-প্রধান পদ না থাকলেও জিয়ার সংসার বাঁচাতে তাকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এনে উপসেনাপ্রধান করে রাখা হয়েছিল।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
আরও পড়তে পারেন:
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় কেন কেউ প্রতিরোধে এগিয়ে আসেননি, প্রশ্ন শেখ হাসিনার