রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৬ আগস্ট, ২০২১ ১১:৩০ : পূর্বাহ্ণ
আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করে সেখানে না যেতে নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া।
একই সঙ্গে যারা বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান করছেন তাদেরকে সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য আফগানিস্তানে থাকা তাদের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। যারা বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান করছেন, তাদের দ্রুত ওই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস পেইন বলেন, কাবুল বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলার একটি চলমান এবং উচ্চ হুমকি রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট আফগান এবং বিদেশিদের কাবুল বিমানবন্দর থেকে ‘দ্রুত সরে যাওয়ার জন্য’ বলার পর এমন শঙ্কার কথা বললেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যও একই ধরনের সতর্কতা জারি করেছে। নাগরিকদের বিমানবন্দর এলাকা থেকে ‘দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে গিয়ে পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা’ করার কথা বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ‘এখনও অস্থিতিশীল’। সেখানে সন্ত্রাসী হামলার একটি চলমান এবং উচ্চ হুমকি রয়েছে।
এ তিনটি দেশের কেউ-ই হামলার হুমকি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার মধ্যেই দেশের বিভিন্ন এলাকার দখল নেয় তালেবান। ধীরে ধীরে তারা রাজধানী কাবুল ঘিরে ফেলে। এর পর ১৫ আগস্ট তা দখলে নেয়। তখন থেকে ঝুঁকিতে থাকা আফগান এবং বিদেশিরা দেশছাড়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এ পর্যন্ত আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল বিমানবন্দর দিয়ে কমপক্ষে ৮২ হাজার মানুষকে আকাশপথে উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটি থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের সর্বশেষ সময়সীমা ৩১ আগস্ট। সেই সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উদ্বেগ বাড়ছে।
এরই মধ্যে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সহ জি-৭ নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এই সময়সীমা বৃদ্ধি করার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। অন্যদিকে তালেবানরাও এ সময়ের পরে বিদেশি সেনারা আফগানিস্তানে অবস্থান করলে পরিণতি ভোগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
১০ দিন আগে তালেবানরা আফগানিস্তানের সরকারকে হটিয়ে দিয়েছে। তারপর গঠন করা হয়নি নতুন সরকার। সরকারবিহীন অবস্থায় চলছে আফগানিস্তান। ফলে দেশের ভিতরে খুব ধীরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে শুরু করলেও কাবুল বিমানবন্দরে এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা।
পেন্টাগন বলেছে, এখনও মার্কিন বিমানে করে উদ্ধারের জন্য কাবুল বিমানবন্দরে অপেক্ষায় আছেন ১০ হাজার মানুষ। কিন্তু হাজার হাজার আফগানের মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ। তারা দেশ ছাড়তে চান। কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছতে পারেননি।
বিবিসির প্রতিনিধিরা বলছে, এমন বহু মানুষকে বিমানবন্দরের গেট থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে তালেবানরা।
আরো পড়তে পারেন:
কাবুল বিমানবন্দরে এক বোতল পানি ৩৫০০, এক প্লেট ভাত ৮৫০০ টাকা