নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৬ আগস্ট, ২০২১ ২:২৩ : অপরাহ্ণ
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সময় কেন কেউ প্রতিরোধে এগিয়ে আসেননি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা জানেন, যখন সেরনিয়াবাত সাহেবের (বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি) বাসায় আক্রমণ করা হয়, সাথে সাথে আব্বা (বঙ্গবন্ধু) কিন্তু সবাইকে ফোন করেছিলেন। আবদুর রাজ্জাককে ফোন করেছিলেন, তোফায়েল আহমেদকে ফোন করেছিলেন। সেনাবাহিনীও তাদের ভূমিকা পালন করেনি।’
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, ‘এর পেছনের রহস্যটা কী?’
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা ঠিক এ রকম একটি ঘটনার পর আমাদের দল, সমর্থক কিংবা মুক্তিযোদ্ধাদের যে ভূমিকা ছিল, তারা তা করতে পারেননি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর হাতে সময় পেয়েছিলেন দেশ গড়ার। এই সময়ও কিন্তু তাকে সেভাবে সময় দেয়া হয়নি। তিনি যেদিন বাংলার মাটিতে পা রাখলেন, সেদিন থেকেই ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার হলো।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করাই ছিল লক্ষ্য। দুর্ভাগ্য, আমাদের দলের ভেতরে, বাবার মন্ত্রিসভার সদস্য খন্দকার মোশতাকসহ অনেকে জড়িত ছিল।’
খন্দকার মোশতাকের সমালোচনা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি হয়েছিল, কতদিন ছিল? বেঈমানদের ব্যবহার করে সবাই, বিশ্বাস করে না। মোশতাক রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনমাসও পূর্ণ করতে পারে নাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তারা (ঘাতকরা) এ দেশের নাম দিয়েছিল ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বেতারের নাম পরিবর্তন করে রেখেছিল রেডিও বাংলাদেশ। কিন্তু তা ধরে রাখতে তারা পারেনি। অন্যায় কখনো আল্লাহও মেনে নেয় না। এ দেশের মানুষও মেনে নেয়নি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মৃত্যু ভয় নেই। আমার কোনো আকাঙ্খাও নেই। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগ আমার পরিবার। বাংলাদেশ আমার পরিবার। এই দেশের নামটাও বঙ্গবন্ধুর ঠিক করা ছিল। পতাকাও। তিনি খাবারের টেবিলে বসে বলেছিলেন, জাপান উদিত সূর্যের দেশ। সাদা জমিনে লাল সূর্য। আমাদের সবুজ দেশে হবে সবুজ জমিনে লাল সূর্য। সেই তারই হাতে গড়া বাংলাদেশে তাকে নির্মমভাবে হত্য করেছে সেনা সদস্যরা।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
আরো পড়তে পারেন:
চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার লাশ নেই, বিএনপি এতো নাটক করে কেন: প্রধানমন্ত্রী