প্রতিনিধি, বরিশাল প্রকাশের সময় :২৪ আগস্ট, ২০২১ ১:১৯ : অপরাহ্ণ
বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান শোভনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে। আগামী মাসে যোগদান করবেন তিনি।
আজ সোমবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র সচিব।
তবে গত বুধবারের ঘটনার সঙ্গে বদলি আদেশের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টারা।
ইউএনও মুনিবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, গত ১০ আগস্ট তার বদলি আদেশ হয়েছে। তবে এখনো তিনি সেই আদেশ হাতে পাননি। আদেশের কপি পেলে তিনি সঠিক সময়ে সেখানে যোগদান করবেন।
উল্লেখ্য, বরিশালের মেয়র এবং সদর ইউএনওর মধ্যে বিরাজমান দ্বন্দ্ব নিরসনে গত রোববার রাতে বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল আহসান বাদলের বাসভবনে সমঝোতা হয়। তবে এই সমঝোতা বৈঠকে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ উপস্থিত থাকলেও উপস্থিত ছিলেন না ইউএনও মুনিবুর রহমান ৷
গত বুধবার রাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে পোস্টার অপসারণ নিয়ে ইউএনও মুনিবুর রহমানের বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সাথে সিটি করপোরেশনের কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ইউএনওর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আনসার সদস্যদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় গুলি চালায় আনসার সদস্যরা। এতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া আহত হন ৩০ জন।
এর জের ধরে ইউএনওর বাসায় হামলা চালায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। পুলিশ এসে ইউএনওর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ নির্বিচারে সেখানে লাঠিচার্জ শুরু করে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধাওয়া পালটা ধাওয়া শেষে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এ ঘটনায় গত রোববার বরিশাল সদরের উএনও মুনিবুর রহমান ও কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলামসহ ১০৯ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে সিটি করপোরেশন। বিসিসির প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন ও সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার মামলা দুটি দায়েল করেন।
এর আগে সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করেন ইউএনও ও পুলিশ। মামলাগুলোতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৯৪ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়।