নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২২ আগস্ট, ২০২১ ৪:৩০ : অপরাহ্ণ
সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে শক্তি দিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা ১৪ বছর যাবৎ দেখছি-আমরা প্রেসক্লাবের বাইরে দাঁড়াবো, সেটা দিচ্ছে না। আমরা পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলবো, সেটাও তারা দিচ্ছে না। অর্থাৎ, যখন জনগণ থেকে একটা সরকার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখন সে শক্তি দিয়ে টিকে থাকার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। সরকার সেটাই করছে।’
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী মুক্তি পরিষদ আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ আপনারা কোথায় বিচার চাইবেন? বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। অনেকে সংবিধানের কথা বলছেন। কিসের সংবিধান? সরকার যেটা মুখে বলে সেটাই সংবিধান।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গাজী রুহুল আমিন সাহেবকে বেআইনিভাবে ১০ মাস আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি শুধু একজন সাংবাদিক নন, তিনি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। তিনি সর্বদা সত্য কথা বলেন, কাউকে ভয় পান না। যে কারণে আজ তাকে একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ১০ মাস আটক করে রাখা হয়েছে। যে আইনে তাকে আটক করা হয়েছে সেটি একটি বিবর্তনমূলক গণবিরোধী আইন। এটি মুক্ত সাংবাদিকতাবিরোধী আইন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা জানেন-এ দেশে যারা স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলছে, গণতন্ত্রের জন্য কথা বলছে, তাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমাদের বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওয়ার্ডের একটি কর্মীও বাদ যায়নি।’
গণঅভ্যুত্থানের বিকল্প নেই জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গত ১৪ বছর যাবৎ সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অভ্যুত্থান করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। আমরা সশস্ত্র সংগ্রামে বিশ্বাস করি না। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে বিজয় অর্জন করতে চাই।’
সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আসিফ নজরুল একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছে। সে কারও নাম বলেনি। ওদের গায়ে লাগল কেন? কারণ, ওদের অনেক লোক ফাস্ট হোম, সেকেন্ড হোম, থার্ড হোম করে রেখেছে বাইরে। টাকা-পয়সা জমিয়েছে। তাদেরও ওই অবস্থা হবে। প্লেনের টিকেট পাবে কি পাবে না, হুড়োহুড়ি লেগে যাবে। কাবুল বিমানবন্দর আর ঢাকা বিমানবন্দরের মধ্যে কোনো তফাৎ থাকবে কিনা, তা আমারও সন্দেহ হয়।’
নয়া দিগন্তের সম্পাদক মহিউদ্দিন আলমগীরের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ার, কবি আব্দুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, ডিআরইউ সভাপতি মোরসালিন নোমানি, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।