শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন অনেক গভীর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২১ আগস্ট, ২০২১ ৭:০৮ : অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ ও চীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এখন অনেক গভীর হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘কোভিড মহামারি মোকাবিলায় চীন শুরু থেকে আমাদের অনেক ধরনের সহযোগিতা করে আসছে। আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান যে, চীনের মতো ভালো বন্ধু পেয়েছি।’

সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়াকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনের টিকা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।

চীনের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিনগুলোতে চীন যখন কঠিন অবস্থায় পড়েছিল, তখন আমরা চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছিলাম। পরে বাংলাদেশ যখন সমস্যায় পড়ে, তখন চীন সরকার এবং দেশটির অনেক বেসরকারি সংস্থাও আমাদের সহযোগিতা করেছে।’

এ সময় করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে সমানভাবে টিকা বিতরণের গুরুত্ব উল্লেখ করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘এটি খুবই দুঃখজনক যে, অনেক ধনী দেশ প্রচুর টিকা মজুদ করেছে এবং তারা সেগুলো তুলনামূলক দরিদ্র দেশগুলোর সঙ্গে ভাগাভাগি করছে না। টিকা সার্বজনীন হওয়া দরকার। প্রত্যেকটি মানুষ করোনাভাইরাসমুক্ত না হলে কেউই এ থেকে মুক্ত থাকতে পারবে না।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনা বার্তা সংস্থাটিকে বলেন, ‘কোভিড-১৯’র উৎস ও কারণগুলো খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে আমি মনে করি, এটি বিজ্ঞানীদের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তদন্ত হলে তা বিপর্যয় ডেকে আনে।’

এক্ষেত্রে আবদুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাক যুদ্ধের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘প্রথমে এতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। এরপর ছবি ও ভুয়া প্রমাণসহ খবর আসে, ইরাকের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে। এতে গোটা বিশ্ব বিভ্রান্ত হয়ে সেটি সত্য বলে বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়। কিন্তু ঘটনাক্রমে তারা ইরাক দখলের পর দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে যথাসাধ্য চেষ্টা করেও এর তিল পরিমাণ (অস্ত্র) খুঁজে বের করতে পারেনি।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর