নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২১ আগস্ট, ২০২১ ৩:০১ : অপরাহ্ণ
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় তৃতীয় দফায় রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে।
আজ শনিবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তবে, আজ জামিনের কোনো আবেদন করেননি পরীমনির আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে পরীমনির আইনজীবী মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। এজন্য আজ জামিনের আবেদন করিনি।’
শুনানি শেষে পরীমনি এজলাসে দাঁড়িয়ে তার আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা জামিন নিতে পারছেন না, বুঝতে পারছেন আমি পাগল হয়ে যাবো।’
পরীমনির এ কথার প্রেক্ষিতে তার আইনজীবী সুরভি বলেন, ‘পরীমনিকে বার বার রিমান্ড নেওয়া হচ্ছে। সে খুব অসুস্থ। জামিন হচ্ছে না বলে সে একথা বলেছে।’
এর আগে তৃতীয় দফা রিমান্ড শেষে আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পরীমনিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
মাদক মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরীমনিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা।
আটক রাখার আবেদনে তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় তৃতীয় দফা রিমান্ডে পরীমনি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য দিয়েছেন। তাই এ আসামিকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন। জামিনে মুক্তি পেলে পালাতে পারেন।
গত বৃহস্পতিবার পরীমনিকে তৃতীয় দফায় একদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। গত ১০ আগস্ট পরীমনি ও তার সহযাগী আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে ৫ আগস্ট তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
মাদক মামলায় গত ১৩ আগস্ট পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই দিন সন্ধ্যায় তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।
গত ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীর ১৯/এ রোডের ১২ নম্বর বাসায় চিত্রনায়িকা পরীমনির ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় র্যাব। পরীমনির বাসায় প্রায় ৩ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে ভয়ংকর নতুন মাদক এলএসডি ও আইস জব্দ করা হয়। এছাড়া বিপুল সংখ্যক বিদেশী মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। সেদিন বাসা পরীমনিকে আটক করে নিয়ে যায় র্যাব।
পর দিন ৫ আগস্ট তার বিরুদ্ধে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা দায়ের করেন।