সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আন্তর্জাতিক

সালেহের দাবি তিনিই আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট!



রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৭ আগস্ট, ২০২১ ৯:৪৫ : অপরাহ্ণ

রাজধানী কাবুলসহ বেশিরভাগ প্রদেশ বিদ্রোহীগোষ্ঠী তালেবানের দখলে যাওয়ার দু’দিন পর আশরাফ গনি সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ নিজেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দাবি করেছেন।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) এক টুইট বার্তায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

কাবুলের উত্তরপূর্বের পাঞ্জশির উপত্যকায় আত্মগোপনে থাকা সাবেক এই ভাইস প্রেসিডেন্ট টুইটে লিখেছেন, আফগানিস্তানের সংবিধান অনুসারে প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে বা প্রেসিডেন্ট পালিয়ে গেলে বা পদত্যাগ করলে বা তার মৃত্যু হলে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্টই তত্ত্বাবধায়ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আমি বর্তমানে দেশের ভেতরে আছি এবং আমি বৈধ তত্ত্বাবধায়ক প্রেসিডেন্ট। আমি সব নেতার সমর্থন এবং সহায়তা পাওয়ার জন্য তাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।

বিদ্রোহীগোষ্ঠী তালেবানের কাবুল দখল এবং প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির ওমানে পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে আফগান সরকারের পতন হয়। গনি নেতৃত্বাধীন সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহর দেশ ছাড়ার গুঞ্জন উঠলেও অপর এক টুইট বার্তায় তিনি কাবুলের উত্তরপূর্বের পাঞ্জশির উপত্যকায় আত্মগোপনে আছেন বলে নিশ্চিত করেন।

টুইটে তিনি কখনোই তালেবানের কাছে মাথানত করবেন না বলে হুংকার দিয়ে বিদ্রোহী এই গোষ্ঠীকে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সভাপতিত্বে এক নিরাপত্তা বৈঠকে অংশ নেওয়ার পর সালেহ বলেছিলেন, তিনি দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ে গর্বিত এবং সরকার তালেবানকে প্রতিরোধে শক্তি বৃদ্ধি করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।

রোববার আমরুল্লাহ সালেহ বলেছিলেন, আমাকে যে লাখ লাখ মানুষ শুনছেন আমি তাদের হতাশ করবো না। আমি কখনোই তালেবানদের সাথে এক ছাদের নিচে থাকবো না। কখনোই না।

গোয়েন্দা প্রধান থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট সালেহ

এক সময়ের গোয়েন্দা প্রধান থেকে পরবর্তীতে আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া আমরুল্লাহ সালেহ তালেবানের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি ব্যবহার করে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। কিশোর বয়সে বাবা-মা হারানো সালেহ ১৯৯০ এর দশকে গেরিলা কমান্ডার মাসুদের সাথে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।

১৯৯৬ সালে তালেবান রাজধানী কাবুলের দখল নেওয়ার আগে পর্যন্ত সরকারে কাজ করেছিলেন আমরুল্লাহ। পরে দেশটির কট্টরপন্থী তালেবানরা সালেহকে আটকের উদ্দেশ্যে তার বোনকে নির্যাতন করে। গত বছর প্রভাবশালী সাময়িকী টাইমে লেখা এক নিবন্ধে সালেহ বলেছিলেন, ১৯৯৬ সালের সেই ঘটনার কারণে তালেবানকে নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি আজীবনের জন্য পাল্টে গেছে।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যখন নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলা হয়, তখন সালেহ তালেবানবিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক জোটের হামলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রধান সম্পদ বনে যান তিনি।

সিআইএর নজরে আসায় তার জীবনের গতিপথ পাল্টে যায়, ২০০৪ সাালে আফগানিস্তানের নবগঠিত গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি ডিরেক্টরেটের (এনডিএস) প্রধান নিযুক্ত হন তিনি। এনডিএসের প্রধান থাকাকালীন সালেহ তালেবান বিদ্রোহীদের ভেতরে এবং পাকিস্তান সীমান্তজুড়ে তথ্যদাতা এবং গুপ্তচরদের একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক তৈরি করেন।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর