রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৬ আগস্ট, ২০২১ ১:০৬ : পূর্বাহ্ণ
কাবুলে ঢুকে পড়েছে তালেবানরা। আফগান রাষ্ট্রপতির প্রাসাদও এখন তাদের দখলে। আর তালেবানদের এই অদম্য অগ্রগতির সামনে একপ্রকার হেলিকপ্টারে করে পালালেন মার্কিন দূতাবাসের কর্মীরা।
গেল শুক্রবারই (১৪ আগস্ট) দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপদে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে আনার জন্য কাবুল বিমান বন্দরে ৩০০০ নতুন সেনা সদস্য পাঠিয়েছিলেন জো বাইডেন। ২০ বছর তালেবানদের ধ্বংস করার চেষ্টা করে শেষে তাদেরই এভাবে পলায়ন অনেকের স্মৃতি থেকেই ঝেড়ে বের করে এনেছে আমেরিকানদের আরেক তড়িঘড়ি পলায়নের ছবি! কাবুলের পতন মনে করিয়ে দিচ্ছে, ১৯৭৫ সালে সাইগনের (বর্তমানে হো চি মিন সিটি) পতন এবং ভিয়েতনাম থেকে তাদের পলায়ন।
ভিয়েতনামে আমেরিকার পরাজয় অমর করে রেখে দিয়েছে একটি ছবি। ১৯৭৫ সালে পিএভিএন এবং ভিয়েত কং বাহিনীর কব্জায় এসে গিয়েছে সাইগন। আর সেখানকার মার্কিন দূতাবাসের ভবনের ছাদ থেকে হেলিকপ্টারে করে দূতাবাসের কর্মীদের উদ্ধার করছে মার্কিন সেনা।
কাবুল তালেবানদের হাতে চলে যেতেই এদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে ঠিক একই ধরণের আরও একটি ছবি। কাবুলের মার্কিন দূতাবাস থেকেও একইভাবে হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করা হচ্ছে দূতাবাসের কর্মীদের।
বস্তুত আমেরিকার জন্য ভিয়েতনাম যুদ্ধ এবং আফগানিস্তান যুদ্ধের মধ্যে অত্যন্ত মিল রয়েছে।
প্রথমত, দুটি ক্ষেত্রেই দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করে গিয়েছে মার্কিন বাহিনী। ভিয়েতনামে যুদ্ধ চলেছিল দুই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সময় ধরে। আফগানিস্তানের যুদ্ধ শুরু হয়েছিল প্রেসিডেন্ট বুশের সময়ে। তারপর ওবামা, ট্রাম্প গিয়ে এখন ক্ষমতায় জো বাইডেন। কিন্তু, দুই ক্ষেত্রেই যুদ্ধ থেকে কোনও লাভ করতে পারেনি মার্কিন বাহিনী। ভিয়েতনামের যুদ্ধ যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের এক লজ্জাজনক অধ্যায় হিসাবে রয়ে গেছে। আফগানিস্তান যুদ্ধকেও আগামী দিনে সেভাবেই দেখতে হবে।
তবে, আফগানিস্তানও যে আরেকটা ভিয়েতনাম হতে চলেছে, তা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন আফগানিস্তান ও সামরিক বিশ্লেষকরা।
মজার বিষয়, গত জুলাই মাসেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সাইগনে যা ঘটেছিল আবার তেমনই ঘটবে না তো আফগানিস্তানে?
এককথায় সেই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেছিলেন, দুই ঘটনার মধ্যে মিলের সংখ্যা শূন্য। সাইগনে উত্তর ভিয়েতনামের সেনাবাহিনী মার্কিন দূতাবাসের ছয়টি গেট ভেঙ্গে ঢুকে এসেছিল।
বাইডেন বলেছিলেন, ‘তালেবানরা উত্তর ভিয়েতনামের সেনাবাহিনী নয়। ক্ষমতার দিক থেকে দুই বাহিনীর তুলনাই হয় না। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন দূতাবাসের ছাদ থেকে মানুষদের তুলে নিয়ে আসতে হবে, এমন কোনো পরিস্থিতিই তৈরি হবে না।’
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
https://rajnitisangbad.com/2021/08/13/%e0%a6%86%e0%a6%ab%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b0/