রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৫ আগস্ট, ২০২১ ১১:৫৫ : অপরাহ্ণ
আফগানিস্তানের তালেবান কমান্ডাররা জানিয়েছেন, তারা দেশটির প্রেসিডেন্ট প্যালেসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
রোববার (১৫ আগস্ট) প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি রোববার তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের নিয়ে তাজিকিস্তানের উদ্দেশে কাবুল ত্যাগ করার পর তালেবানের দুই কর্মকর্তার বরাতে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স লিখেছে, তালেবানের ওই দাবির সত্যতা তারা যাচাই করতে পারেনি। আফগানিস্তানের কোনো সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গেও তারা এ বিষয়ে কথা বলতে পারেনি।
বিবিসি লিখেছে, তালেবানের সঙ্গে আফগান সরকারের দর কষাকষিতে উপস্থিত দুই কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন বিলাল সারওয়ারি নামের স্থানীয় একজন সাংবাদিক।
তারা বিলালকে বলেছেন, দুই পক্ষের সমঝোতায় এটা ঠিক হয়েছিল যে, প্রেসিডেন্ট প্যালেসেই ক্ষমতা হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা হবে এবং প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি নিজে সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
কিন্তু জ্যেষ্ঠ সহযোগীদের নিয়ে তিনি কাবুল ত্যাগ করার পর প্রেসিডেন্ট প্যালেসের সব কর্মীকে সরে যেতে বলা হয়। কর্মীরা তখন প্যালেস খালি করে চলে যান।
প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির দেশত্যাগের পর তালেবান যোদ্ধারা রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করে। রোববার সন্ধ্যায় যোদ্ধাদের কাবুলে প্রবেশের নির্দেশ দেয় সশস্ত্র গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতারা।
তালেবানের এক মুখপাত্র বলেছেন, লুটপাট ঠেকাতে সদস্যদের কাবুলে প্রবেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেই বাগরাম বিমান ঘাঁটির দখল এখন তালেবানের হাতে
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো সেনাদের জন্য আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি তালেবান ও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মূল রণক্ষেত্র ছিল। এবার বাগরাম বিমান ঘাঁটিটি দখলে নিল তালেবান। একই সঙ্গে এর কারাগারও তাদের দখলে। খবর বিবিসির।
২০০১ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী এ ঘাঁটিতে প্রবেশ করে। পরিত্যক্ত অবস্থায় পেলেও পরে এটিকে ১০ হাজার সৈন্য রাখতে সক্ষম এমন বিশাল ঘাঁটিতে পরিণত করা হয়। জজ ডব্লিউ বুশ, বারাক ওবামা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকতে পরিদর্শন করেন এ ঘাঁটি।
বাগরামে একটি কারাগারও রয়েছে, যেখানে সংঘাতের সময় মার্কিন সেনাদের হাতে আটক বন্দিদের রাখা হতো, যা কিউবার কুখ্যাত কারাগারের নামে ‘আফগানিস্তানের গুয়ান্তানামো’ হিসেবে পরিচিতি পায়।