নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৩ আগস্ট, ২০২১ ৪:৩০ : অপরাহ্ণ
‘চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসায় র্যাব সদস্যরা পৌঁছানোর আধাঘণ্টা পর দরজা খোলা হয়। সেই সময়ের মধ্যে তিনি মদ ঢেলে বোতল খালি করে ফেলেন।’
মাদক মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে শুনানিতে এ কথা বলেন রাষ্টপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু।
আজ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের আদালতে পরীমনির জামিন আবেদনের শুনানি হয়।
শুনানিতে পিপি আবদুল্লাহ আবু আদালতকে বলেন, ‘আসামির বাসা থেকে প্রচুর দেশি-বিদেশি মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি নায়িকার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে দেশের অনেক শিল্পপতি ও সম্ভ্রান্ত ঘরের লোকদের এবং তরুণ সমাজকে ডিজে পার্টির মাধ্যমে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন।’
রাষ্টপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, ‘নায়িকা তো আরও আছে, তাদের বাসায় তো মদ পাওয়া যায়নি। তাদের তো পুলিশ ধরেনি। তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে? তার কাছে ভয়ংকর মাদক এলএসডি পাওয়া গেছে। তার বাসায় মদ ছিল, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে যখন গ্রেপ্তার করতে যায়, তখন তিনি আধা ঘণ্টা পর্যন্ত দরজা খোলেননি। এ সময় তার বাসায় থাকা মদের বোতল থেকে মদ ফেলে দিয়ে বোতল খালি করেন। বাসার যে খালি বোতল আছে সেগুলোতে মদ ছিল।’
জামিনের বিরোধিতা করে পিপি আবদুল্লাহ আবু আরও বলেন, ‘পরীমনিকে শিল্পী সমিতি থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমি এতো গভীরে যেতে চাই না। চিত্রনায়িকা ও সাধারণ মানুষ আইনের চোখে সকলেই সমান। তার বাসায় মদ পাওয়া গেছে। আমরা চাই তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হোক।’
অপরদিকে পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান র্যাবের অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘র্যাব পরীমনির বাসায় আইনগতভাবে অপারেশন কর নাই। তারা আসামিকে গ্রেপ্তার করে উত্তরাতে তাদের অফিসে নিয়ে গেছে। তাকে থানায় হস্তান্তর না করে নিজেদের কাছে কয়েক ঘণ্টা রাখার পর তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।’
এই আইনজীবী প্রশ্ন রেখে আদালতকে বলেন, ‘আমি কোনো খুনের আসামি নই, আমাকে কেনো এতো ঘণ্টা আটক রাখা হলো? আপনি নিশ্চয়ই তা বিবেচনা করবেন।’
শুনানিতে মজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘পরীমনির মুক্তির দাবিতে সমাজের মুক্ত চিন্তার প্রগতিশীলরা সোচ্চার হচ্ছে। দেশের বিশিষ্টজনেরা তার মুক্তি দাবি করছেন। প্রতিদিন এসব সংবাদ ছাপা হচ্ছে, টেলিভিশনে প্রচার করা হচ্ছে। বিজ্ঞ আদালত, নিশ্চয়ই পত্র-পত্রিকায় এসব খবর দেখছেন।’
এই আইনজীবী বলেন, ‘আসামি যদি এই মামলায় অপরাধী হয়, তাহলে তাকে মামলার বিচারের মধ্যে দিয়ে শাস্তি দেয়া যাবে। কিন্তু আপাতত যে কোনো শর্তে তার জামিন চাই বিজ্ঞ আদালত।’
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন:
https://rajnitisangbad.com/2021/08/13/%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%97/