শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৯ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা আওয়ামী লীগ

যুবলীগ থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে অব্যাহতি


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৭ আগস্ট, ২০২১ ১১:১০ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত মুখ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে যুবলীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৭ আগস্ট) রাতে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

জানা গেছে, ৪ আগস্ট রাত ১২ টা ১ মিনিটে শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি দলীয় কর্মসূচিতে স্লোগান দিয়েছিলেন সদরের পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন। ‘শুভ শুভ শুভ দিন, শেখ কামালের জন্মদিন’, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ওই স্লোগানের ২৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

প্রকাশ্যে রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে স্লোগান দেওয়ায় সরকারি বিধিমালা-১৯৭৯ লঙ্ঘন করেছেন-এমন কথাও বলেন কেউ কেউ।

যুবলীগ নেতা ব্যারিস্টার সুমন এই ঘটনার সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেন।

গত ৬ আগস্ট ফেসবুক লাইভে এসে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘শেখ কামাল সাহেবের জন্মদিনে শরীয়তপুরের পালং থানার ওসি আক্তার হোসেনের আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগান দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই জিনিসটা দেখার পর আমার কাছে মনে হয়েছে দু-একটা কথা বলা দরকার। আওয়ামী লীগের স্লোগান দেওয়ার মানুষ কী এতই কম যে একজন ওসি সাহেবের এই স্লোগান দিতে হবে। আমি খেয়াল করে দেখলাম যে উনি বলছেন আবেগ থেকেই স্লোগান দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে, আপনি যখন সরকারি দায়িত্বে থাকবেন কিংবা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন, তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে আবেগ দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু আপনার বিরুদ্ধে পানিশমেন্ট নিয়ে আসা উচিত। কিন্তু তিনি এখনো ওই জায়গাতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন।’

ওসির স্লোগান নিয়ে ব্যারিস্টার সুমনের এমন সমালোচনা ভালোভাবে নেয়নি সংগঠন। যে কারণে তাকে যুবলীগের পদ থেকে অব্যাহতি পেতে হলো।

সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী ব্যাপক পরিচিতি পান তার ‘ফেসবুক লাইভের’ মাধ্যমে।

যেখানে অনিয়ম, সেখান থেকে ফেসবুক লাইভে গিয়ে নজরে আসেন তিনি। শত শত ব্যবহারকারী সেই ফেসবুক লাইভ শেয়ার করে ছড়িয়ে দেন, আর হাজার হাজার ভিউ’র তা প্রত্যক্ষ করেন।

পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই অনিয়মের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হন। এভাবেই পরিচিতমুখ হয়ে ওঠেন ব্যারিস্টার সুমন।

২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগের ২০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ওই কমিটিতে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে আইন বিষয়ক সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছিল।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর