রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১ আগস্ট, ২০২১ ৪:০১ : অপরাহ্ণ
মুখে দুর্গন্ধ অনেকেরই হয়ে থাকে। এমন সমস্যায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। বন্ধু-সঙ্গীরা মুখ ফিরিয়ে নেয় অনেক সময়।
মুখের এই দুর্গন্ধ কেন হয়, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বহু গবেষণা চলছে। সে সব গবেষণা থেকে সুনির্দিষ্টভাবে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করা গেছে। সেগুলো হলো-
* দীর্ঘসময় ধরে না খেয়ে থাকা।
* মুখের থুথু কমে যাওয়া। মুখে থুথুর পরিমাণ কমে যাওয়ায় ব্যাকটেরিয়াগুলোর দ্রুত প্রজনন হয়ে থাকে, যা দুর্গন্ধের কারণ হয়।
* যেসব খাবার মুখের পানিশূন্যতা সৃষ্টি করে, সেগুলো বেশি খাওয়া।
* তুলনামূলক কম পানি পান করা।
* নিয়মিত নিয়মমতো মুখ ও দাঁতের পরিচর্যা না করা।
* কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা থাকা যেমন- নিয়ন্ত্রণহীন ডায়াবেটিস, পেটের পীড়া, লিভারের সমস্যা, টনসিলজনিত সমস্যা ইত্যাদি।
* মুখ ও দাঁতের অসম্পূর্ণ চিকিৎসা।
* মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার অভ্যাসগত সমস্যা।
* করোনাকালীন মাস্ক ব্যবহারের কারণে।
* দীর্ঘ সময় কিছু না খাবারের কারণে ও জিহ্বা পরিষ্কার না করার কারণে জিহ্বার উপর সালফারের প্রলেপ পড়ে মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
এমন পরিস্থিতিতে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য কয়েকটি ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন।
যা করবেন-
* দিনে অন্তত ২ বার দাঁত মাজা দরকার। এতে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী, ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু মুখে বাসা বাঁধতে পারে না।
* ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করা। ব্রাশও অনেক সময় যে সমস্ত খাবারের কণা দাঁত থেকে বের করতে পারে না, তা ডেন্টাল ফ্লস দিয়ে করা সম্ভব। ফলে এটা ব্যবহার করলে নিশ্বাসের দুর্গন্ধ হওয়ার আশঙ্কা কমবে।
* বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য গ্রীন টি বা যে কোনও কালো চা (ব্ল্যাক টি) খুবই উপকারী। চা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুগুলোকে জন্মাতেই দেয় না।
* মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করলে মুখের দুর্গন্ধ কমে যায়। এসেন্সিয়াল অয়েল যুক্ত মাউথ ওয়াশ ব্যবহারে মুখের দুর্গন্ধ কমে যায়। মাউথ ওয়াশে টি ট্রি অয়েল, পিপারমেন্ট অয়েল এবং লেমন অয়েল থাকলে তা খুবই উপকার দেয় মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে।
* পার্সলে, রোজমেরি জাতীয় হার্বস ভেষজ উপাদান চিবালেও মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা কমে যায়।
* গাজর, আপেল জাতীয় ফল নিয়মিত খেলেও দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণু মুখে বাসা বাঁধতে পারে না।
* জিভ সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
* দৈনিক ৮-১০ গ্লাস পানি খেতে হবে।
* ফলমূল, শাকসবজি, দইজাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত।
* লেবু, জাম্বুরা, কমলা, কামরাংগা, মাল্টা ও আনারসের শরবত পান করা।
* গাজর, শসা, টমেটো, আমড়া ও আমলকি ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখা।
* মুখ ও দাঁতের সঠিক পরিচর্যা করা।