নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৩১ জুলাই, ২০২১ ৭:৩০ : অপরাহ্ণ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যে গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী সব শিল্পকারখানা খুলে দেওয়া নিয়ে সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। গণপরিবহন বন্ধ রেখে রোববার থেকে গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী সব শিল্পকারখানা খুলে দেওয়া ‘সরকারের হটকারী সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির এই দুই শীর্ষ নেতা।
শনিবার (৩১ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ। অন্যদিকে শ্রমিকরা যখন গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছে ঠিক এই সময়ে কারখানা খুলে দেওয়া সরকারের হটকারী সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়।
নেতারা বলেন, গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার পর আর লকডাউন জারি রাখার কোনো অর্থ নেই। সরকারের উচিত লকডাউন তুলে দিয়ে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে প্রয়োজনে কঠোর হওয়া।
তারা বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। ছাত্রছাত্রীদের টিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া এবং সব গার্মেন্টস ও শিল্পকারখানা কর্মীকেও টিকা দেওয়া নিশ্চিত করা।
এ সময় টিকাদান নিয়েও সমালোচনা করেন দলটির এই দুই নেতা। তারা বলেন, এখন যেভাবে টিকা দেওয়া হচ্ছে তাতে আগামী দুই বছরেও শেষ করা সম্ভব হবে না। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ টিকা কেন্দ্র চালু করে মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। নিবন্ধন পদ্ধতি আরও সহজ করতে হবে। কারণ নিবন্ধন জটিলতার কারণে নিরক্ষর ও স্বল্প শিক্ষিত মানুষ টিকা নিতে আগ্রহী হচ্ছে না।
সংক্রমণ প্রবণ এলাকায় করোনা চিকিৎসায় ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান ন্যাপের এই দুই শীর্ষ নেতা।
সরকারের উদ্দেশে তারা বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় সব বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলেই জনগণের জীবনে স্বস্তি আসবে এবং জীবন রক্ষা পাবে।