নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৬ জুলাই, ২০২১ ৫:৫৪ : অপরাহ্ণ
দেশে এক দিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আবারও রেকর্ড মৃত্যু ও সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ১৯২ জন।
আজ সোমবার (২৬ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ১১ জুলাই দেশে করোনায় সর্বোচ্চ ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর গত ১২ জুলাই সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৩ হাজার ৭৮৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫০ হাজার ৯৫২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ৭২ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ৬১, রাজশাহীতে ২১, খুলনায় ৪৬, বরিশালে ১২, সিলেটে ১৪, রংপুরে ১৬ এবং ময়মনসিংহে ৫জন মারা গেছেন। মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৪১ জন পুরুষ এবং ১০৬ জন নারী।
এ পর্যন্ত দেশে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৭ জনে। আর মোট মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৫২১ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৫২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট ১০ লাখ ৯ হাজার ৯২৩ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। এ বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরও বাড়িয়ে ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু দেশে এখন সংক্রমণ পরিস্থিতি এপ্রিলের মতো ভয়ংকর রূপ নিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত দুই সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন জারি করেছিল সরকার। কিন্তু এরপরও করোনার সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। এ অবস্থায় সরকার ঈদ উপলক্ষে ৮ দিনের জন্য লকডাউন শিথিল করে। ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ১৪ দিনের জন্য আবারও লকডাউন শুরু হয়েছে।