নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৩ জুলাই, ২০২১ ১০:৪৫ : পূর্বাহ্ণ
করোনা সংক্রমণের চলমান পরিস্থিতি সামাল দিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দেশজুড়ে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে এ লকডাউন চলবে আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ।
কঠোর লকডাউনেও রাজধানীতে মানুষের চলাচল দেখা গেছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ব্যবহার করে কর্মস্থলে ফিরছে অসংখ্য মানুষ।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে ভোর থেকেই বাধাহীন চলাচল করছে যাত্রীবাহী বাস। আগের মতোই চলাচল করছে ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার। অতিরিক্ত ভাড়ায় এসব যানবাহনে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। বাস-ট্রাক, মোটরসাইকেল কিংবা ব্যক্তিগত যানবাহন, যে যেভাবে পারছে ছুটছে ঢাকার উদ্দেশে।
পুলিশ জানিয়েছে, পোশাক কারখানা বন্ধ থাকার ফলে মহাসড়কে গাড়ি ও যাত্রীদের চাপ একেবারেই কম। এজন্য মধ্যরাতে যে সকল যানবাহন মহাসড়কে প্রবেশ করেছে তাদের মানবিক কারণে গন্তব্যে যেতে দেয়া হচ্ছে।
রাজধানীর বিভিন্ন টার্মিনাল, ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার পয়েন্টগুলো ও সদরঘাটে রয়েছে ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড়। ঢাকায় পৌঁছানোর পর গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পরেছেন যাত্রীরা। ভোরে সদরঘাটে লঞ্চ থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হন হাজারো মানুষ। সড়কে যানবাহন না থাকায় চরম বিপাকে পড়েন তারা। শিশুসন্তান, নারী, বয়স্কদের নিয়ে দীর্ঘ পথ হেঁটে বাসার দিকে যান অনেকে। কেউ আবার অ্যাম্বুলেন্সে করে, ভ্যান, পিকভ্যানে রওনা হন গন্তব্যে।
রাজধানীতে রিকশা ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় মানুষের চলাচল দেখা গেছে। গন্তব্যে যেতে অনেকে বাইরে বের হয়েছেন। এদিকে রাস্তায় গণপরিবহন ও রিকশা না থাকায় হেঁটে চলাচল করছে নগরবাসী। রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
চেকপোস্টে জনসাধারণের বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সঠিক কারণ মিললে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানীর ফার্মগেটে মানুষের জটলা দেখা গেছে। যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছে মানুষ। তবে কোন যানবাহন না থাকায় হেঁটে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা।
সকাল ৮ টার দিকে শেওড়াপাড়ায় দেখা যায়, অনেকে বাইরে বের হয়েছেন। সামান্য কিছু রিকশা রাস্তায় চলাচল করছে। যানবাহন না পাওয়ায় ফুটপথ ধরে জনসাধারণ চলাচল করছে। ফুটপাথে বেশকিছু দোকান দেখা গেছে। বিক্রেতারা ভ্যানে করে ফল ও সবজি বিক্রি করছেন।
গত ১৩ জুন লকডাউন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ঈদের কারণে ওই আদেশে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল। এরপর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে নতুন করে কঠোর লকডাউন আরোপ করা হয়।