রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৩ জুলাই, ২০২১ ৭:৪৫ : অপরাহ্ণ
ক্রীড়া জগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘অলিম্পিক লরেল’ পেলেন নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) বিকেলে জাপানের টোকিওতে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির পক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
টোকিও অলিম্পিক-২০২০’ আসরের উদ্বোধনের দিন ড. ইউনূসের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তিনি জাপানে যেতে পারেননি। পুরস্কারটি আগেই তার হাতে পৌঁছে দেয়া হয়।
আজ বিকেল ৫টায় জাপানের টোকিওতে পর্দা উঠে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ; ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’ খ্যাত অলিম্পিকের। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলোতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সেখানেই নাম ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশি এই নোবেল বিজয়ীর।
অ্যাথলেটদের প্যারেড শুরুর পূর্বে ভার্চুয়ালি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। এরপরই ইউনূস সেন্টারের ফেসবুক পেজ থেকে তার বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। যেখানে প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘অলিম্পিক লরেল জিতে আমি অভিভূত এবং সম্মানিত বোধ করছি। একই সঙ্গে আমি দুঃখিত যে, আমি সশরীরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারিনি।’
এরপর তিনি বিশ্বের অ্যাথলেটদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারাই পরিবর্তনশীল বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে পারেন। একই সঙ্গে সৃষ্টি করতে পারেন তিনটি জিরো বা শূন্যের। এগুলো হচ্ছে, শূন্য কার্বন নির্গমন, শূন্য দারিদ্র এবং শূন্য বেকারত্ব। প্রত্যেকের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার শক্তি সৃষ্টি করার মাধ্যমেই এগুলো করা সম্ভব।’
প্রফেসর ইউনূস তাঁর বার্তায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) সফলতা কামনা করেন। তিনি ক্রীড়ার মাধ্যমে বিশ্বকে আরও শান্তিপূর্ণ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে আইওসি’র ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই প্রতিযোগিতায় সকলের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি। আমাকে এই সম্মাননা দেওয়ায় আবারও ধন্যবাদ।’
উল্লেখ্য, এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো দেওয়া হলো এই পুরস্কার। অলিম্পিক কমিটি বলেছে, সারা বিশ্বকে অনুপ্রেরণা দিয়ে এক ছাতার নিচে আনা বাংলাদেশি নোবেল বিজয়ী এই পুরস্কার পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন।
২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক আয়োজক কমিটিও ড. ইউনূসের এই পুরস্কার পাওয়ায় উল্লাস প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, তাদের আগেই টোকিও এই সম্মান জানিয়ে ফেলায় তারা মর্মাহত।
কেনিয়ার সাবেক অলিম্পিয়ান কিপচোগে কেইনোকে রিও অলিম্পিকে প্রথম এই সম্মাননা দেওয়া হয়। কেনিয়ান শিশুদের জন্য স্কুল, নিরাপদ আবাসন ও ক্রীড়া প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করায় তিনি এই পুরস্কার পান।