রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৩ জুলাই, ২০২১ ৮:৩০ : অপরাহ্ণ
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে লক্ষ্যটা খুব কঠিন ছিল না। জিম্বাবুয়ের বোলিংও অসাধারণ কিছু হয়নি। পরিকল্পনাহীন ব্যাটিংয়ে বিপদ ডেকে আনেন বাংলাদেশের টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরাই। পরের দিকে একটু লড়াই করলেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি সফরকারীরা।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ৩১ রান। স্ট্রাইকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন। খাতা-কলমে জয়ের আশা তখনও শেষ হয়ে যায়নি টাইগারদের। আর তার জন্য অবিশ্বাস্য কিছু করতে হতো সাইফউদ্দীনকে।
প্রথম বল ওয়াইড হওয়ায় সমীকরণটা ৬ বলে নেমে আসে ৩০ রানে। এরপর উইকেটের পেছনে সাইফউদ্দীনের চার। কিন্তু পরের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার হাতে বন্দী হয়ে সাজঘরে এই অলরাউন্ডার।
১৬৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে বাংলাদেশ থামে ১৪৩ রানে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২৩ রানের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফিরল জিম্বাবুয়ে। এর আগে ওয়েসলি মাধেভেরের দুর্দান্ত ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান করে সিকান্দার রাজার দল। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন জিম্বাবুয়েন ওপেনার।
জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস স্টেডিয়ামে ১৬৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে মাত্র ১৭ রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে বাংলাদেশ। নাঈম শেখ ৫ ও সৌম্য সরকার ৮ রান করে দুজনেই ব্লেসিং মুজারাবানির শিকারে পরিণত হন। সেই চাপ মেহেদী হাসান ও সাকিব আল হাসান মিলে সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। দলীয় ৪৫ রানের মাথায় সাকিব আউট হলে আশা ফিকে হয় টাইগার বাহিনীর।
ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে সাকিব ১০ বলে ২ চারে করেন ১২ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ রিয়াদও ফিরে যান মাত্র ৪ রান করে। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে মাহামুদউল্লাহ বাহিনী।
১৫ রান করে মেহেদী হাসান শিকারে পরিণত হন ওয়েলিংটন মাসাকাদজার। নুরুল হাসান সোহান আগের ম্যাচের ধারাবাহিকতায় এ ম্যাচেও আশা দেখাচ্ছিলেন। দলীয় ৬৮ রানের মাথায় তেন্দাই চাতারার শিকার হন তিনি। অভিষিক্ত শামিম পাটোয়ারির ব্যাটে জয়ের রং দেখছিল বাংলাদেশ। ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ে শামিম হয়তো বুঝাচ্ছিলেন ‘এটা আমারই জায়গা, আমি এভাবেই খেলি।’ কিন্তু সব সম্ভাবনা মিথ্যা করে দিয়ে শামিম আউট হন লুক জংউইয়ের বলে। ফেরার আগে মাত্র ১৩ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান, ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মার। ২৫ বলে আফিফ হোসেন করেন ২৪ রান।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে গতকাল টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ঘরের মাটিতে কোন জয়ের মুখ না দেখা জিম্বাবুইয়ানরা এদিন শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে। যদিও ইনিংসের মাত্র ২য় ওভারেই উইকেট হারিয়ে বসে তারা। অফস্পিনার শেখ মেহেদি হাসানের আর্মবলটা বুঝে উঠতে পারেননি মারুমানি। মাত্র ৩ রান করে দলীয় ১৫ রানে বিদায় নেন তিনি।
এরপর চাকাভা, মেয়ার্স কিংবা রায়ান বার্ল ছোট ছোট ঝড় তুলেছেন। তবে সবচেয়ে কার্যকরী ইনিংসটা খেলেছেন ওপেনিংয়ে উঠে আসা ওয়েসলি মাধভেরে।
দারুণ ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যানের উইলো থেকে এসেছে ৭৩ রান। তার ইনিংসে ৫টি চার এবং ৩টি ছক্কার মার রয়েছে। তাকে ফিরিয়েছেন তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম।
শেষদিকে রায়ান বার্লের ১৯ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ইনিংসটায় ভর করে ১৬৬ রানের সংগ্রহ পেয়েছে স্বাগতিকরা। ৩টি উইকেট নিয়েছেন শরিফুল। ১টি করে উইকেট গেছে শেখ মেহেদি ও সাকিব আল হাসানের দখলে।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে গতকাল ৮ উইকেটে জিতেছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বাহিনী।