নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৮ জুলাই, ২০২১ ৮:১০ : অপরাহ্ণ
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ড. শামসুল আলম। আজ রোববার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ।
বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত এই শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে শামসুল আলমকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হবে। বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন এম এ মান্নান।
২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। মন্ত্রিসভায় এখন ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন। নতুন একজন যুক্ত হওয়ায় প্রতিমন্ত্রীর সংখ্যা এখন ২০ জন।
অর্থনীতিতে একুশে পদক পাওয়া ড. শামসুল আলম পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগে (জিইডি) সিনিয়র সচিব হিসেবে ১২ বছর ধরে চুক্তিভিত্তিক দায়িত্ব পালন করেন।
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন এই পরিকল্পনাবিদ। দায়িত্বপালনের মধ্য দিয়ে তিনি আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। একজন সৎ ও দায়িত্বশীল আমলা হিসেবে সুপরিচিতি রয়েছে তার। কর্ম জীবনে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মানির হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডসের ভাগিনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকস স্কুলে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন।
ড. শামসুল আলম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে জিইডিতে যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন সেটি আমি সূচারুভাবে পালন করেছি। এখন যে বিশ্বাস ও আস্থা রেখে নতুন দায়িত্ব দিচ্ছেন সেটিও যথাযথভাবে পালন করবো ইনশাআল্লাহ। আমার প্রধান কাজ হবে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি বৃদ্ধি করা।
ড. শামসুল আলম ২০০৯ সালের ১ জুলাই পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগ দেন। এরপর এই কমিশনেই কেটে যায় ১২ বছর। কর্মজীবনে তিনি দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র সংশোধন ও পূর্ণ বিন্যাস, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পা, জাতীয় টেকসই উন্নয়ন কৌশলপত্র, শতবর্ষের ডেল্টা প্ল্যানসহ নানা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। এসবের স্বীকৃতিস্বরূপ ইতোমধ্যে অর্থনীতিতে একুশে পদক লাভ করেছেন তিনি।
ড. শামসুল আলমের পারিবারিক জীবনে স্ত্রী, দুই পুত্র সন্তান ও এক নাতনী রয়েছে। তার জন্ম চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে ১৯৫১ সনের ১ জানুয়ারি।