নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৭ জুলাই, ২০২১ ৪:৩০ : অপরাহ্ণ
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের। টাঙ্গাইলের টোল প্লাজা বন্ধ থাকা, নলকার পুরানো ঝুঁকিপূর্ণ সেতু এবং সিরাজগঞ্জ অংশের মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজের কারণে দীর্ঘ এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুলাই) বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার ২২ কিলোমিটার সড়কের ঢাকাগামী লেনে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সকাল থেকে যানজট রয়েছে।
মহাসড়কে বেশি দেখা গেছে কোরবানির পশু পরিবহনের যানবাহন। গরু নিয়ে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করা ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। এছাড়া যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। সড়কেই কেটে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি মো. শাহজাহান আলী বলেন, রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। ওদিকে কড্ডা এলাকার যানজট ও নলকা সেতু এলাকার যানজট কখনো কখনো এক হয়ে যাচ্ছে। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে সেখানে সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে। এসব কারণে নলকার পূর্বপাশ থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সকালে যানজট বেশি ছিলো।
মহাসড়কের কড্ডার মোড় এলাকা থেকে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. আব্দুল গণি জানান, ভোরে টাঙ্গাইলের টোল প্লাজা বন্ধ থাকার কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছিলো। এখন ঢাকাগামী মহাসড়কে কিছুটা যানজট থাকলেও উত্তরবঙ্গগামী মহাসড়ক অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ সামাল দিতে না পেরে শুক্রবার রাত দুইটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত দফায় দফায় টোল আদায় বন্ধ রাখে সেতু কর্তৃপক্ষ।