‘এক-এগারো রাজনীতিবিদদের পাঠশালা’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এক-এগারো থেকে রাজনৈতিক কর্মীদের শেখার অনেক কিছু আছে। রাজনীতি মানে গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসানো নয়, জনগণের জন্য নির্মোহ রাজনীতি করলে জনগণই পুরস্কৃত করে। তার উজ্জল উদাহরণ ২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে জনগণের আকাশচুম্বী সমর্থন।’
শুক্রবার (১৬ জুলাই) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
‘দেশের ইতিহাসে এক-এগারো একটি দুষ্ট ক্ষত’ উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ ক্ষত তৈরি হয়েছে বিএনপির হঠকারী এবং ক্ষমতালোভী রাজনীতির কারণে। বিএনপি একতরফা নির্বাচনের নীলনকশা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এক-এগারোর প্রেক্ষাপট তৈরি করে। দেশের রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের ওপর নেমে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। দেশ পরিচালনার দায়িত্ব যায় অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এক-এগারোর কুশীলবরা এখনও বাংলাদেশে আছে। তারা এখনও দেশে বিশৃঙ্খলা, অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে আবারও ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সেই দিন আর ফিরে আসবে না। যারা এখনও মনে মনে ওয়ান ইলেভেনের রঙিন খোয়াব দেখছেন, আপনাদের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। জনবিচ্ছিন্ন যারা ক্ষমতায় যাবার স্বপ্ন দেখছেন তাদের সে খোয়াব দেশের জনগণ সফল হতে দেবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে কারাবন্দি করার এ দিবসটি প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের কারাবন্দি দিবস। আর নেত্রীর কারামুক্তি দিবস বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গণতন্ত্রের কারামুক্তি দিবস হিসেবেই পরিচিত লাভ করেছে।’
আওয়ামী লীগের শেকড় মাটির অনেক গভীরে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্রই আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ ও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। অতীতেও পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।’
করোনার এই সংকটে আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো দল জনগণের পাশে নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি শুধু ঘরে বসে বিষোদগার করে যাচ্ছে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ অন্যান্য নেতা।
