নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১২ জুলাই, ২০২১ ১:১০ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামের বাকলিয়ার বলিরহাট এলাকায় র্যাব সদস্যদের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল রোববার (১১ জুলাই) দুপুর দুইটার দিকে নগরীর বাকলিয়া বলিরহাট এলাকায় অবৈধ গাছ জব্দের অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হন চার র্যাব সদস্য।
চট্টগ্রাম র্যাবের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার গণমাধ্যমকে জানান, বাকলিয়ার বলিরহাট এলাকায় অবৈধভাবে সংগ্রহ করা কাঠ মজুদের তথ্য পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে অভিযানে যায় র্যাব। অভিযান শুরুর পরপরই পাশের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, এলাকায় ডাকাত এসেছে, আপনারা সবাই জড়ো হন।
তিনি জানান, তখনই এলাকার শতাধিক লোক জড়ো হয়ে অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাবের একটি মাইক্রোবাসে ভাঙচুর চালান। হামলায় চার র্যাব সদস্য আহত হন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের মাথা ফেটেছে। এছাড়া হামলায় দুই বন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর অভিযানে যাওয়া র্যাব সদস্যরা ফিরে আসেন। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে সেখানে আবার অভিযানে যায় র্যাব।
জানতে চাইলে র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে. কর্নেল মশিউর রহমান রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘বলিরহাট এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ কাঠের ব্যবসা চলছে। কিছু দিন আগে র্যাব সেখানে অবৈধভাবে সংগ্রহ করা কাঠ মজুদের তথ্য পায়। সেগুলো জব্দ করতে বন বিভাগসহ র্যাব অভিযানে যায়। তখন অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে ডাকাত এসেছে বলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন। তখন স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে র্যাবের ওপর হামলা করেন।’
অভিযানে যাওয়া র্যাব সদস্যদের গায়ে কি ইউনিফর্ম ছিল না?-এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘তাদের গায়ে র্যাবের জ্যাকেট ছিল।’
গায়ে র্যাবের জ্যাকেট থাকার পরও কীভাবে স্থানীয় লোকজন হামলা করলো?-এ প্রশ্নের জবাবে লে. কর্নেল মশিউর রহমান বলেন, ‘যখন লোকজন শুনেছে যে ডাকাত এসেছে, তখন তো তারা গায়ে জ্যাকেট থাকার বিষয়টা আর চিন্তা করেনি। তারা ধরে নিয়েছে ডাকাত।’
তখন কি র্যাব অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেনি?-এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘সেখানে এতো লোকজন ছিল যে, র্যাব সদস্যদের অ্যাকশনে যাওয়ার সুযোগ ছিল না।’
এ দিকে এ ঘটনায় বাকলিয়া থানায় এখনও পর্যন্ত র্যাবের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওসি রুহুল আমীন।